ইকরামুল ইসলাম বেনাপোল প্রতিনিধি
শার্শার ১১ নং নিজামপুর ইউনিয়নে শুক্রবার (১৫ ই) অক্টোবর বিকাল ৩ টায় শেষ হল হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, মানুষের মনের আসুরিক প্রবৃত্তি কাম, ক্রোধ, হিংসা, লালসা বিসর্জন দেয়াই মূলত বিজয়া দশমীর মূল তাৎপর্য। এ প্রবৃত্তিগুলোকে বিসর্জন দিয়ে একে অন্যের সঙ্গে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করাই এ আয়োজনের উদ্দেশ্য।

শুক্রবার বিকাল ২টা থেকে প্রতিমা বিসর্জন শুরু হয়। শার্শার নিজামপুর শুধু ৩ টা প্রতিমা বিসর্জন করা হয়। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে ১১নং নিজামপু ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

রাস্তার পাশে দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।শোভাযাত্রা শুরুর আগে পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় বলেন, প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হল হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, মানুষের মনের আসুরিক প্রবৃত্তি কাম, ক্রোধ, হিংসা, লালসা বিসর্জন দেয়াই মূলত বিজয়া দশমীর মূল তাৎপর্য। এ প্রবৃত্তিগুলোকে বিসর্জন দিয়ে একে অন্যের সঙ্গে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করাই এ আয়োজনের উদ্দেশ্য। সনাতন বিশ্বাস ও বিশুদ্ধ পঞ্জিকামতে, জগতের মঙ্গল কামনায় দেবী দুর্গা এবার মর্ত্যলোকে (পৃথিবী) আসবেন ঘোড়ায় চড়ে। যার ফল হচ্ছে শস্যবৃদ্ধি। তবে ভক্তদের বিশ্বাস, ফলাফল যাই হোক মা মঙ্গলময়ী, আনন্দময়ী। তিনি জগতের কল্যাণ করেন। তিনি সন্তানের কল্যাণই করবেন। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, দেবী দুর্গা যে ক’দিন পিতৃগৃহে ছিলেন, ঢোলের বাদ্য সে ক’দিন ভক্তদের মনে ভক্তি আর আনন্দ মূর্ছনা দু-ই জাগিয়েছে। শুক্রবার বিকালে সব মণ্ডপে দশমী পূজা সমাপন ও দর্পণ বিসর্জন করা হয়। শাস্ত্রীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলেও বিসর্জনের আগে নিজামপুর মণ্ডপে মণ্ডপে দুপুর পর্যন্ত চলে আবির খেলা আর আনন্দ উৎসব।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নিজামপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আলাউদ্দীন খাঁন,ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের দপ্তর সম্পাদক খলিলুর রহমান,ওয়ার্ড আওয়ামিলীগের সভাপতি আঃ সোবাহান ইউপি সদস্য নূরুল ইসলাম, আওয়ামিলন নেতা আবুল কাশেম সহ আয়ামিলীগের নেতৃবৃন্দ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *