মো ইউসুফ আলী প্রধান স্টাফ রিপোর্টারঃ
নারায়ণগঞ্জের কয়লাঘাট এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় যাত্রীবাহী ডুবে যাওয়া সাবিত আল হাসান লঞ্চটি উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার বেলা ১২টা পর্যন্ত ২১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে ২৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো।বিআইডিব্লটিএর চেযারম্যান কমডর গোলাম ছাদেক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সোমবার বেলা ১২টার দিকে ডুবে যাওয়া লঞ্চটি উদ্ধার করা হয়। এরপর এর ভেতর থেকে ২১ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে। এরপর সোয়া ১টার দিকে উদ্ধার কাজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এর আগে উদ্ধার করা হয় আরও পাঁচজনের লাশ।
এর আগে চারজনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আর একজন অজ্ঞাতনামা নারীর মরদেহ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের (ভিক্টোরিয়া) মর্গে রাখা হয়েছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাহিদা বারিক রোববার দিবাগত রাত ২টা পর্যন্ত ঘটনাস্থল থেকে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করেছেন।
হস্তান্তর করা লাশের মধ্যে রয়েছে মুন্সীগঞ্জ সদরের মালপাড়া এলাকার হারাধন সাহার স্ত্রী সুনিতা সাহা (৪০), উত্তর চরমসুরা এলাকার অলিউল্লাহর স্ত্রী সখিনা বেগম (৪৫), একই এলাকার প্রীতিময় শর্মার স্ত্রী প্রতিমা শর্মা (৫৩), সদরের নয়াগাঁও পূর্বপাড়া এলাকার মিথুন মিয়ার স্ত্রী সাউদা আক্তার লতা (১৮)।
নারায়ণগঞ্জ সদর ইউএনও নাহিদা বারিক জানান, মদনগঞ্জ এলাকায় নির্মাণাধীন তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর কাছাকাছি এসকে-৩ নামের একটি কার্গো জাহাজের ধাক্কায় বেশ কিছু যাত্রী নিয়ে একটি লঞ্চ ডুবে যায়। এ ঘটনায় অনেকে সাঁতরে তীরে উঠলেও নিখোঁজ রয়েছেন আরও বেশ কিছু যাত্রী।
তিনি আরও জানান, এর মধ্যে পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজনের লাশ দাফনের জন্য ২০ হাজার টাকা করে স্বজনদের কাছে দেওয়া হয়েছে।
নাহিদা বারিক বলেন, লঞ্চডুবির এ ঘটনায় জেলা প্রশাসন আমাকেসহ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খাদিজা তাহেরীকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
তদন্ত কমিটিকে আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটিতে বিআইডব্লিউটিএ, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও নৌপুলিশের প্রতিনিধিও রয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস নারায়ণগঞ্জ অফিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আরেফিন জানান, সকাল থেকে নিখোঁজদের উদ্ধার অভিযান আরও জোরদার করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *