আবদুল্লাহ আল নোমান পটিয়া চট্টগ্রাম
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জননেতা মুহাম্মদ বদিউল আলম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদেশের শ্রমজীবিদের সাথে আছেন। তিনি শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরী নির্ধারন করে দিয়েছেন।

তাদের কল্যানে চালু করেছেন ব্যাপক আর্থিক নিরাপত্তা ও কর্মসূচি। পটিয়ার ইন্দ্রপোল লবণ শ্রমিকরা বছরের পর বছর দেশের লবণ উৎপাদনে কাজ করলেও তাদের জন্য কোন স্থায়ী বা অস্থায়ী থাকার জায়গা নেই। তাদের কল্যানে যা যা করা দরকার সব করা হবে। তিনি বলেন, আপনারা আওয়ামী লীগ সরকারকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় রেখেছেন। স্থানীয় এমপি আপনাদের কোন খবর রাখেনি। আপনাদের জন্য শেখ হাসিনা আছে আর পটিয়ায় আমি আছি। আপনারা আমাকে আজ যেভাবে সাহস ও সমর্থন জানালেন আমি অভিভূত, কৃতজ্ঞ।

আগামী নির্বাচনে আপনারা আমাকে এমপি হিসেবে দেখার দাবী জানিয়েছেন, মনোনয়ন দিবেন প্রধানমন্ত্রী। আমি তাঁর সিদ্ধান্ত মেনে চলি। তবে আপনাদের দাবী নয়, পটিয়ার সকল স্তরের মানুষ পরিবর্তন চায়, আমাকে জাতীয় সংসদে দেখতে চায়। আমি তৃণমূল থেকে কেন্দ্রে নেতৃত্ব দিচ্ছি।

ছাত্রলীগের ওয়ার্ড নেতা থেকে কেন্দ্রীয় নেতা হয়েছি। এখন যুবলীগের মত ঐতিহ্যবাহী যুব সংগঠনের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক। এটা সম্ভব হয়েছে আপনাদের দোয়া ও ভালবাসায়। আপনাদের দাবী সরকারের বিভিন্ন এজেন্সি ও মিডিয়ার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কানে পৌঁছবে। তিনি নিশ্চয়ই পটিয়ার মানুষের মতের প্রতিফলন ঘটিয়ে আমাকে মনোনয়ন দিবেন।

মুহাম্মদ বদিউল আলম ৬ ই জানুয়ারি শুক্রবার সকালে পটিয়া ইন্দ্রপোল লবন শ্রমিক সমিতির আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। ইন্দ্রপোল লবন শ্রমিক সমিতির সভাপতি এয়াকুব মাঝির সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক ফজল মাঝি ও টেম্পো শ্রমিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলমের যৌথ পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক ইন্দ্রপোল লবন শ্রমিক সমিতির সভাপতি প্রথম নির্বাচিত সভাপতি সাবেক কমিশনার আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল খালেক।

প্রধান বক্তা ছিলেন পটিয়া উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক ডি.এম জমির উদ্দিন।

বক্তব্য রাখেন, শফি সওঃ, নজরুল ইসলাম, সুজন বড়ুয়া, মোঃ জুয়েল, মোঃ হোসেন, মোঃ হারুন, মোঃ আবদুল আওয়াল, লবন শ্রমিক নেতা জসিম উদ্দিন, মোঃ সালাউদ্দিন, মোঃ মন্নান, মোঃ আরিফ, মোঃ মামুন, মোঃ কাউছার, মোঃ সোলাইমান, মোঃ ইয়াকুব, মোঃ ওসমান প্রমুখ।

তিনি বলেন, সরকার দেশের শ্রমজীবী মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও কল্যাণে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। মালিক-শ্রমিকের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সুসম্পর্ক বজায় রাখার মাধ্যমে নিরাপদ কর্ম পরিবেশ, সামাজিক নিরাপত্তা ও শ্রমিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ শ্রম আইন যুগোপযোগী ও আধুনিকায়ন করে বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন, ২০১৮ প্রণয়ন করা করেছে সরকার।

দেশের বিভিন্ন খাতে কর্মরত শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন গঠন করা হয়েছে। এ তহবিল থেকে প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক যেকোনো খ্যাতে নিয়োজিত কোনো শ্রমিক কর্মরত অবস্থায় দুর্ঘটনাজনিত কারণে স্থায়ীভাবে অক্ষম হলে বা মৃত্যুবরণ করলে জরুরি চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহ ও দুরোগ্য ব্যাধির চিকিৎসার জন্য এবং শ্রমিকদের সন্তানের উচ্চশিক্ষার জন্যেও আর্থিক সহায়তা পাচ্ছেন।

মুহাম্মদ বদিউল আলম আরোও বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন শোষিত, বঞ্চিত ও মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন। শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে তিনি ১৯৭২ সালে শ্রমনীতি প্রণয়ন করেন। তিনি পরিত্যক্ত কল-কারখানা জাতীয়করণ করে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী এবং শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন।

তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার সারাদেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছে। এতে এক কোটির বেশি লোকের কর্মসংস্থান হবে। দেশি-বিদেশি সব বিনিয়োগকারী যত্রতত্র শিল্প স্থাপন না করে এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করার সুযোগ পাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে নারী শ্রমিকদের জন্য শ্রমজীবী মহিলা হোস্টেল নির্মাণ করা হচ্ছে।

কর্মক্ষেত্রে নারী শ্রমিকদের সমান মজুরি নিশ্চিত করা হয়েছে এবং নারী শ্রমিকদের নিরাপদ আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে চট্টগ্রামের কালুরঘাটে এবং নারায়ণগঞ্জের বন্দরে দুইটি বহুতল শ্রমজীবী মহিলা হোস্টেল নির্মাণ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *