নিজস্ব প্রতিবেদকঃ এসআইয়ের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের কারনে বোয়ালখালী বিএমএসএফের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক কালেরকন্ঠের প্রতিনিধি কাজী আয়েশা ফারজানার বিরুদ্ধে বাদী সাজিয়ে ৭লাখ টাকা চাঁদাবাজি মামলা করা হয়েছে। এদিকে মামলার খবর বিভিন্ন অনলাইনে প্রকাশিত হলে উদ্দেশ্যমূলক ভাবে ওসি আব্দুল করিমের নিজ আইডিতে শেয়ার করে বেড়াচ্ছেন। ২৭ মার্চ এ মামলাটি করেন কদুরটিল এলাকার জৈনক শাহিনা আকতার।

এদিকে পুলিশের ঈন্ধনে একজন সাহসী নারী সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে হয়রাণীর প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম -বিএমএসএফ কেন্দ্রীয় কমিটি।

মঙ্গলবার গণমাধ্যম পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএমএসএফের সভাপতি শহীদুল ইসলাম পাইলট ও সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর বলেন, পুলিশের অনিয়ম-দূর্ণীতির বিরুদ্ধে সাংবাদিকরা সংবাদ প্রকাশ করলেই তৃতীয়পক্ষ দাঁড় করিয়ে প্রতিনিয়ত মামলার গ্যাঁড়াকলে আটকিয়ে হয়রাণী করা হয়। মামলাটি সুবিচারের স্বার্থে বিভাগীয় তদন্তের দাবি করা হয়।

নেতৃবৃন্দ বলেন, অযথা সাংবাদিকদের হয়রাণী করে কেউ রেহাই পায়নি আপনারাও পাবেন বলে বিশ্বাস করা যায়না। তাই আসুন; পুলিশ-সাংবাদিক এক হয়ে কাজের মধ্যদিয়ে সমাজের অসঙ্গতি, অন্যায়-অনিয়মের বিরুদ্ধে আমরা কাজ করি। ভেদাভেদ ভুলে সাপে-নেউলে সম্পর্ক নয়; সাংবাদিক-পুলিশ বন্ধুত্ব সম্পর্কের মধ্য দিয়ে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় কাজ করি।

সাংবাদিক কাজী ফারজানা বলেছেন; মামলার বাদীকে আমি চিনি না। তার সাথে আমার কোনোদিন কথাও হয়নি। অথচ আমাকে আসামী করে তিনি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার পর বোয়ালখালী থানার ওসি আবদুল করিম এ সংক্রান্ত বিষয়ে নাম সর্বস্ব অনলাইন পোর্টালে পরিবেশিত সংবাদ উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইক শেয়ার করছেন। এতে আমার সামাজিক ভাবে মান সম্মান ক্ষুন্ন হচ্ছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে দোষী প্রমানিত হলে আমার বিচারও দাবী করছি।

ইতিপূর্বে আয়েশা ফারজানা বোয়ালখালী থানা পুলিশ সিসি ক্যামেরার নামে বিভিন্ন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে জোর করে টাকা অাদায় সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ এবং এসআই জাহাংগীর আল আমানের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশসহ স্থানীয় বিভিন্ন প্রশাসনের দূর্ণীতি-অনিয়মের সংবাদ প্রকাশ করে আসছে।

স্থানীয় শিক্ষিত, মার্জিত, সাহসী সাংবাদিক কাজী অায়েশা ফারজানা ওই এলাকায় ১৯ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশায় কাজ করার পরেও তাকে কথিত সাংবাদিক লিখেছে কিছু অনলাইন পত্রিকা। বিএমএসএফ ওইসকল পত্রিকার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *