নিজস্ব প্রতিবেদক
নারায়ণগঞ্জ প্রান কেন্দ্র চাষাঢ়ায় একটি অটো রিকশা চালিয়ে চলে আহসান উল্লাহর পরিবারে জীবিকা।

মোঃ আহসান উল্লাহ (২২) পিতাঃ মোঃ সোনা মিয়া বর্তমান নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা পানির টাংকি এলাকায় ভাড়া বাড়িতে সপরিবারে বসবাস পেশায় একজন অটো রিকশা ড্রাইভার । প্রতিদিনের নেয় ২৫ সেপ্টেম্বর জীবিকার তাগিদে অটোরিকশা নিয়ে বেড়িয়ে যায় বাসা থেকে নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রান কেন্দ্র চাষাঢ়া সমবায় মার্কেটের নিচ থেকে সিদ্ধিরগঞ্জ ৮নং ওয়ার্ড বোউ বাজারে উদ্দেশ্য আহসান উল্লাহর অটোরিকশায় চড়ে বসেন (ইজি আইটি সফ) এর প্রোঃ মোঃ ফিরোজ খান তখন তার হাতে ছিল কম্পিউটারের একটি ছেটাব সিপিইউ, একটি মনিটর যা ফিরোজের কম্পিউটার সেন্টারে প্রশিক্ষণের একটি প্রয়োজনীয় জিনিস।

ফিরোজ আহসানের অটোরিকশায় চরে নির্দিষ্ট স্থানে গিয়ে শুধু মাত্র হাতে থাকা মনিটর নিয়ে ফিরোজ অটোরিকশা ভাড়া দিয়ে প্রতিষ্ঠানে ঢুকে যায় ভুল করে সিপিইউ টি অটোরিকশায় পরে থাকে ভাড়া নিয়ে আহসান উল্লাহ চলে যায়।

এদিকে ফিরোজ তার প্রতিষ্ঠানের সিপিইউ খুজতে শুরু করলে না পেয়ে দৌড়ে অটোরিকশা খুজতে বেড়িয়ে পরে না পেয়ে প্রতিষ্ঠানে ঢুকে ভুলের মাশুল নিরবতায় চুপচাপ বসে থাকেন, প্রায় ৪৫ মিনিট পরে সেই চাষাঢ়া থেকে আহসান উল্লাহ সিপিইউ টি অটোরিকশা করে ফিরোজ কে ফিরিয়ে দিতে আসে যা দেখে ফিরোজ আনমনা হয়ে আহসান উল্লাহ কে বুক জড়িয়ে ধরে।

আহসান উল্লাহ কে প্রশ্ন করলে উত্তর দিয়ে বলেন আমি যা ফিরাই দিছি এইডা আমার না, যাঁর জিনিস হেরে দিছি খালি আমার একটু কষ্ট হইছে, যদি আমি এইডা রাইখা দিতাম আমি অপরাধী হইয়া থাকতাম।

এদিকে ফিরোজ বলেন যদিও আহসান উল্লাহ অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা অর্জন করে কিন্তু তার থেকে আমাদের অনেক কিছু শিখার আছে যা হয়তো আমাদের বর্তমা সমাজের কিছু শিক্ষিত মানুষ বুঝতে পারিনা।

সিপিইউ টির বাজার মুল্য প্রায়ই ৭০ হাজার টাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *