সিদ্ধিরগঞ্জে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে আব্দুল্লাহ খান পায়েল (১৪) নামে এক কিশোর খুন হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের (নাসিক ৮নং) ওয়ার্ডের গোদনাইল ধনকুন্ডা ভান্ডারি পুল ডিএনডি লেক পাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কিশোর আব্দুল্লাহ খান পায়েল শামীম খানের ছেলে উত্তর ধনকোন্ডা, আতাবর শিকদারের টিনসেড বাড়ীর ভাড়াটিয়া বলে জানান এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা। এ ঘটনায় জাহিদ, হৃদয়, আল আমিন ও সাব্বির নামে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত কিশোরের সঙ্গে চড়-থাপ্পড় দেওয়াকে কেন্দ্র করে একই এলাকার অন্য আরেকটি গ্রুপের দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। এরই জেরে কিশোর আব্দুল্লাহ খান পায়েলকে ছুরিকাঘাত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুল্লাহ’কে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম জানান, নিহতের সঙ্গে অন্য আরেকটি গ্রুপের চড়-থাপ্পড় দেওয়াকে কেন্দ্র করে ঝামেলা ছিল। উভয়ে সমঝোতায় বসলে ওই বৈঠকেই নিহতকে ছুরিকাঘাত করা হয়। হত্যার ঘটনায় ইতিমধ্যে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ্য ও আরও ৭/৮ জন অজ্ঞাত করে মামলা দায়ের করেন ।
এ বিষয়ে নিহত আব্দুল্লাহ’র বাবা বলেন শুক্রবার সন্ধ্যার পরে আমার ছেলের মোবাইল থেকে আমার মোবাইলে একটি কল আসে। অন্য প্রান্ত থেকে বলেন যে আব্দুল্লাহ’কে চাকু দিয়ে আঘাত করেছে । আমি ছেলে উদ্দেশ্য করে রউনা হই শুনতে পাই যে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য সুফিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে খানপুর ৩’শ শয্যা হাসপাতাল পাঠিয়ে দেয়। পরে খানপুর হাসপাতাল ইমারজেন্সি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন আঘাত ফুসফুসে লেগে গিয়েছে তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাফর্ড করে। পরে আমি সহ আমার ছেলেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা করিয়া মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন সাক্ষী আশরাফুল ইসলাম জানায় ২নং বিবাদী মেহেদী ও ৩নং বিবাদী শুভ’র সঙ্গে একদিন পূর্বে তাকে মারধর করে। এই নিয়ে আশরাফুল ও আমার ছেলের সঙ্গে বিবাদীর সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক হাতাহাতি হয়। এক পর্যায় ২নং বিবাদী মেহেদী মোবাইলে কল করে আরও কয়েক জনকে নিয়ে এসে আশরাফুল ও আমার ছেলেকে রিয়াদের ক্লাবে নিয়ে ক্লাবে থাকা সবাই এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকে। এমতো অবস্থায় ১নং বিবাদীর সাথে থাকা সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে আব্দুল্লাহ কে আঘাত করে পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।