আলিফ হোসেন,তানোরঃ

রাজশাহী অঞ্চলের রাজনৈতিক অঙ্গনে সহাবস্থান, দিনবদল-সুস্থধারা, নীতিনৈতিকতা, সৎ, আদর্শিক নেতৃত্বের প্রতিকৃতি সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী।

তাঁর কোনো অবৈধ অর্থলিপসা না থাকায় দেশের গতানুগতিক রাজনীতির স্রোতে তিনি কখানই গা-ভাসিয়ে দেননি। তিনি কখানো কোনো সুবিধা পেতে দল-নেতা ও নেতৃত্বের সঙ্গে বেঈমানীও করেননি শুরু থেকে এখানো মুল ধারার সঙ্গেই রয়েছেন। রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন নির্বাচনে কালো টাকার মোহে কথিত হেভিওয়েট নেতারা দল-নেতা ও নেতৃত্বের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে
তাদের অনুগতদের নিয়ে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

তবে একজন ছিলেন ব্যতিক্রম তিনি এমপি ফারুক চৌধুরী তারা হাজারো প্রলোভন দিয়েও তাকে আদর্শচ্যুৎ করতে পারেনি। এদিকে রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও এমপি হিসেবে তিনি কতটা সফল এসব নিয়ে আলোচনা হতেই পারে। কিন্ত্ত তার আদর্শ-নীতিনৈতিকতা ও জামায়াত-বিএনপির দুর্গে আওয়ামী লীগের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে তার যে অবদান তা অস্বীকার বা তা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কারো কোনো সুযোগ নাই। তৃণমুলের ভাষ্য, নির্বাচনী এলাকায় এখন তো সবাই আওয়ামী লীগ।

অথচ এক সময় এখানে আওয়ামী লীগের পোস্টার সাঁটানো, মিটিং-মিছিল এমনকি আওয়ামী লীগ করি প্রকাশ্যে এই কথা বলার মতো পরিবেশ ছিল না। তাহলে আজকের এই অবস্থান-পরিস্থিতি ও আওয়ামী লীগের একচ্ছত্র আধিপত্য সৃস্টি হলো কার হাতে বা নেতৃত্বে। এসব বিষয়ে পর্যালোচনা করলেই সবার কাছে এমপি ফারুক চৌধুরীর রাজনৈতিক অবস্থান পরিস্কার হয়ে যাবে, এর জন্য রাজনৈতিক বিশ্লেষক হবার প্রয়োজন নাই।

জানা গেছে, বিগত দিনে এখানকার
রাজনীতির ইতিহাসে সরকার দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা অধিকাংশ সময় এলাকা অশান্ত করে তুলেছিল।
অথচ আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের একটানা তৃতীয় মেয়াদও এখানে ভিন্ন চিত্র বিরাজমান রয়েছে।
সূত্র বলছে; এমপি ফারুক চৌধুরীর রাজনৈতিক দুরদর্শীতা, ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, অক্লান্ত পরিশ্রম ও স্বদিচ্ছায়
রাজনৈতিক সহাবস্থান, দিনবদল ও
সুস্থধারা সৃষ্টি হওয়ায় রাজনীতিতে সহিংসতার কোন স্থান নাই।

রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিক ভাবে মোকাবেলা করা হচ্ছে। রাজনৈতিক অঙ্গনে জামায়াত-বিএনপির ইতিহাস এখন কেবলই দুঃসহ স্মৃতি। এখন বিরোধীদল বিনা বাধায় তাদের শান্তিপূর্ণ যেকোন রাজনৈতিক কর্মসূচী পালন করতে পারছেন। অথচ বিএনপি-জামায়াতের সময়ে তৎকালীন বিরোধীদল আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে মিথ্যা মামলা ও নির্যাতনের মূখে বছরের পর বছর পালিয়ে বেড়িয়েছেন।

মিথ্যা মামলায় বহু নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা মাসের পর মাস কারাবরণ করেছেন। তাদের অনেকেরই নিকট আত্মীয়-স্বজনের মূত্যুর পর জানাজায় অংশগ্রহণ করতেও পারেননি। আন্দোলন কর্মসূচী তো দুরের কথা; জাতীর জনক এবং স্বাধীনতার স্থপত্তি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎবার্ষিকী ও রমজান মাসে ইফতার মাহফিলের অনুষ্ঠান করতেও দেয়া হয়নি।

এদিকে সুস্থধারা ও দিনবদলের রাজনীতি শুরু হওয়ায় দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বত্বি বিরাজ করছে। এমপি ফারুক চৌধূরী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটারদের কাছে দিনবদলের যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, সেই প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন করতেই তিনি রাজনীতিতে সুস্থধারা, সহাবস্থান ও দিনবদলের রাজনীতি শুরু করেছেন। এতে করে দলমত নির্বিশেষে সব শ্রেণী-পেশার মানুষের মধ্যে পরম স্বস্তি ও শান্তি বিরাজ করছে। তবে রাজনৈতিক দুর্বুত্তায়ন ও লেজুড় বৃত্তি করতে না পেরে নিজ দলের একশ্রেণীর স্বার্থান্বেষী, ক্ষমতালেভী জনবিচ্ছিন্ন নেতা এমপির কাছে অনৈতিক কাজের আশ্রয়-প্রশ্রয় না পেয়ে, তারা তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার লিপ্ত রয়েছে।

তারা রাজনৈতিক ক্ষমতার দাপট, ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি-ঘুষ, চাঁদাবাজী ইত্যাদি করতে না পারায় এমপির প্রতি তুষ্ট হতে পারছেন না। ফলে। এরা নিজেরা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে বিভিন্ন কৌশলে এমপি ফারুক চৌধুরীর বিরোধীতা করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের বিরোধীতায় সম্পৃক্ত হচ্ছেন।
অপরদিকে এমপি ফারুকের অর্থলিপসা না থাকায় প্রায় ৫ কোটি টাকা মূল্যর তার ব্যক্তিগত সম্পত্তি তিনি সরকারি কলেজ নির্মাণের জন্য দান করেছেন এবং এখানো এমপির সম্মানী ভাতার টাকা এলাকায় হতদরিদ্র নেতা-কর্মীদের মাঝে বিতরণ করে আসছেন। আবার চাকুরী মেলা করে এলাকার হাজার হাজার বেকার জনগোষ্ঠির আত্ম কর্মসংস্থানের মাধ্যমে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে নানাবিধ সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন। অথচ একশ্রেণীর জনবিচ্ছিন্ন স্বর্থান্বেষী নেতারা অনিয়ম-দূর্নীতি করে রাতারাতি অগাধ ধনসম্পত্তি অর্জনের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। কিন্তু সাংসদ ফারুক চৌধূরীর অর্থলিপসা না থাকায় তারা এসব অনৈতিক কর্মকাণ্ড করতে পারছেন না।

যার ফলে এসব বিপথগামী নেতা-কর্মী সাংসদের কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্ট হতে না পারলেও রাজনৈতিক পর্যবেক মহল, শুশিল সমাজ,সচেতন মহল ও সাধারণ মানুষ সাংসদের এমন অবস্থানের ভুয়সী প্রশংসা করে তাকে গণমানুষের নেতার উপাধীতে ভুষিত করেছেন। অন্যদিকে বিশ্বের চলমান প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তিনি হট লাইন চালু করে নিজ জ্বীবনের ঝুঁকি নিয়ে তার পাশাপাশি তানোর উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না এবং গোদাগাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির আলমকে দুই উপজেলার দায়িত্ব দিয়ে মাঠে নামান যা সর্বমহলে প্রশংসিত ও মডেল হয়ে উঠেছে।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ফারুক চৌধুরী এমপি বলেন, দলের মধ্যে কিছু আগাছা-পরগাছা থাকতেই পারে, যেমন ধানের মধ্যে খড়-কুটা থাকে। দলের সেই কথিত জনবিচ্ছিন্ন স্বার্থান্বেষীগণ আমার কাছে অনৈতিক সুবিধা না পেয়ে নিজেদের স্বার্থে দল বিরোধীদেরকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগের মূল আদর্শিক ও চেতনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, আমি স্পষ্ট কথা বলতে পছন্দ করি, কোন অন্যায় ও অনৈতিক আবদার কারীদেরকে প্রশ্রয় দিইনা, মাদকের সুপারিশ কখনও করিনা।

সদা-সর্বদা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আদর্শ ও চেতনাকে বুকে ধারণ করে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার সকল দিক নির্দেশনা মেনে চলে ও তার অনুপ্রেরণায় দেশের চলমান উন্নয়ন মূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে চলেছি। আমি শহীদ পরিবারের সন্তান আমার শরীরে বেঈমানীর রক্ত নাই, আমার কাছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনবিরোধী, রাজনৈতিক বেঈমান ও বিশ্বাসঘাতকদের কোনো স্থান নাই, আমি বুকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে রাজনীতি করি আমার বড় শক্তি তৃণমুলের আম-জনতা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *