আলিফ হোসেন,তানোরঃ

রাজশাহী অঞ্চলে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক অঙ্গনে রাজনৈতিক সহাবস্থান, সুস্থধারা, আদর্শিক ও সৎ রাজনৈতিকের প্রতিকৃতি সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী। তাঁর
অবৈধ কোনো অর্থলিপসা না থাকায়
দেশের গতানুগতিক রাজনীতির স্রোতে তিনি কখানোই গা-ভাসিয়ে দেননি।
জানা গেছে, তানোর ও গোদাগাড়ীর রাজনীতির ইতিহাসে সরকার দলীয় নেতা ও কর্মী-সমর্থকরা সিংহভাগ সময় এলাকা অশান্ত করে তুলেছিল।

অথচ আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের একটানা তৃতীয় মেয়াদও এখানে ভিন্ন চিত্র বিরাজমান রয়েছে। অনুসন্ধান বলছে, এমপি ফারুকের প্রচেস্টায় রাজনৈতিক সহাবস্থান ও
সুস্থধারা সৃষ্টি হওয়ায় রাজনীতিতে সহিংসতার কোনো স্থান নাই, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করা হচ্ছে। রাজনৈতিক অঙ্গনে জামায়াত-বিএনপির ইতিহাস এখন কেবলই দুঃসহ স্মৃতি।

এখন বিরোধীদল বিনা বাধায় তাদের শান্তিপূর্ণ যেকোনো
রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে পারছে। অথচ বিএনপি-জামায়াতের সময়ে তৎকালীন বিরোধীদল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে মিথ্যা মামলা ও নির্যাতনের মূখে বছরের পর বছর পালিয়ে বেড়িয়েছে।

মিথ্যা মামলায় বহু নেতাকর্মী মাসের পর মাস কারাবরণ করেছে। তাদের অনেকেরই নিকট আত্মীয়-স্বজনের মূত্যুর পর জানাজায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি। আন্দোলন কর্মসূচি তো দুরের কথা জাতির জনক এবং স্বাধীনতার স্থপত্তি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎবার্ষিকী ও রমজান মাসে ইফতারের অনুষ্ঠান করতে দেয়া হয়নি। জামায়াত-বিএনপি এক সময় সহিংস রাজনীতির পথে হেঁটে এখানকার শান্তিময় পরিবেশ অশান্ত করে তুলেছিল।
কিন্তু
এমপি ফারুকের রাজনৈতিক দূরদর্শীতা এবং প্রচেস্টায় রাজনৈতিক সহবস্থান ও সুস্থধারা
সৃষ্টি করে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। সুস্থধারা ও দিনবদলের রাজনীতি শুরু হওয়ায় দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বত্বি বিরাজ করছে। এমপি ফারুক চৌধূরী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটারদের কাছে দিনবদলের যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, সেই প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন করতেই তিনি রাজনীতিতে সুস্থধারা, সহাবস্থান ও দিনবদলের রাজনীতি শুরু করেছেন। এতে দলমত নির্বিশেষে সব শ্রেণী-পেশার মানুষের মধ্যে পরম স্বস্তি বিরাজ করছে।
তবে রাজনৈতিক দুর্বুত্তায়ন ও লেজুড় বৃত্তি করতে না পেরে নিজ দলের একশ্রেণীর জনবিচ্ছিন্ন নেতাকর্মী তার প্রতি ক্ষুব্ধ রয়েছে।

তারা রাজনৈতিক ক্ষমতার দাপট, অপব্যবহার, চাঁদাবাজী ইত্যাদি
করতে না পারায় তুষ্ট হতে পারছে না। এরা নিজেরা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে
বিভিন্ন কৌশলে এমপি ফারুকের বিরোধীতা করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের বিরোধীতায় সম্পৃক্ত হচ্ছে।
অথচ বিগত দিনে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ক্ষমতাসীন
দলের নেতাকর্মীরা টিআর, কাবিখা, কাবিটা, টেন্ডারবাজী, গভীর নলকুপ ইত্যাদি অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে, তবে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে এমপি ফারুকের কঠোর অবস্থানের এসব আর হচ্ছে না।

দলমত নির্বিশেষে সব শ্রেণী-পেশার মানুষ সাংসদের এমন ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করছে এবং এসব মানুষের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে, নির্বাচনী এলাকায় সাংসদ ফারুক চৌধূরীর জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। সর্বস্তরের মানুষ গণমানুষের নেতা হিসেবে ফারুক চৌধূরীকে নিয়ে গর্ববোধ করছে। এদিকে আওয়ামী লীগে নেতৃত্ব নিয়ে বিভাজন বা প্রতিযোগীতা নেই তা নয়, তবে তাতে সহিংস রুপ নেই। অন্যদিকে বিরোধীদলের ওপর সরকারী দলের অত্যাচার ও নির্যাতনের স্টিমরোলার চালানোর সেই করুণ দৃশ্য এখন কেবলই দুঃসহ স্মৃতি। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে বিরোধীদলের কোনো নেতাকর্মী রাজনৈতিক বিবেচনা বা মিথ্যা মামলা কিংবা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে না। অথচ
এরকম একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক পরিবেশের সঙ্গে অভ্যস্ত হতে না পেরে বিএনপি ক্ষমতায়
না থেকেও দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব-কোন্দ্বল ও অধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুপক্ষের নেতা-কর্মী ও ক্যাডারদের মধ্যে সংঘটিত একের পর এক সহিংস

ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এছাড়াও এমপি ফারুকের অর্থলিপসা না থাকায় প্রায় ৫ কোটি টাকা মূল্যর তার ব্যক্তিগত সম্পত্তি তিনি সরকারি কলেজ নির্মাণের জন্য দান করেছেন এবং এখানো এমপির সম্মানি ভাতার টাকা এলাকার হতদরিদ্র নেতাকর্মীদের মাঝে বিতরণ করে আসছেন। আবার চাকরি মেলা করে এলাকার হাজার হাজার বেকার জনগোষ্ঠির আত্ম কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছেন।
অথচ একশ্রেণীর জনবিচ্ছিন্ন নেতাকর্মী অনিয়ম-দূর্নীতি করে রাতারাতি অগাধ ধনসম্পত্তি অর্জনের জন্য মরিয়া। কিন্ত্ত সাংসদ ফারুক চৌধূরীর অর্থলিপসা না থাকায় তারা এসব অনৈতিক কর্মকান্ড করতে পারছে না। ফলে এসব নেতাকর্মী সাংসদের কর্মকান্ডে সন্তুষ্ট হতে না পারলেও রাজনৈতিক পর্যবেক মহল, শুশিল সমাজ,সচেতন মহল ও সাধারণ মানুষ সাংসদের এমন অবস্থানের ভুয়সী প্রশংসা করেছেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *