কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি প্রার্থী ও সাবেক ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী আহমেদ তুষার মাঈনউদ্দিন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ণমূখী দেশ এগিয়ে নিতে সাধারন মানুষের কল্যানে কাজ করছেন। গরিব দুঃখী মানুষের ক্ষুধা নিবারনের জন্য কাজ করছেন। উদ্দেশ্য একটাই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নে মহান আল্লাহ তালার সন্তুষ্টি ও মানুষের ভালবাসা অর্জনের জন্যই মানব কল্যানে কাজ করা। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের দুঃখ কষ্ট লাঘব করা। গত সোমবার একান্ত স্বাক্ষাতকারে তিনি অকপটে এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি প্রতিবেদককে আরো বলেন,আমার জীবনে চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। মৃত্যুর পূর্ব মূহূর্ত পর্যন্ত অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নকে আরো এগিয়ে নিতে কাজ করে যেতে চাই। এজন্য সকলের সহযোগিতা চাই। হয়ত কেউ কেউ মনে করছেন রাজনীতিতে পদ পদবীর জন্য আমি মানুষের কাছাকাছি আসার চেষ্টা করছি। আসলে কোন উদ্দেশ্য নয়। আমি রাজনীতি করি ছাত্রজীবন থেকেই। জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই দেখে এসেছি আমার পরিবার নৌকা মার্কায় ভোট দেয়। আওয়ামীলীগের সমর্থণ করে। ১৯৯৫তে আমি এসএসসি পাশ করে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে পড়ি। পরে ২০০৫ সালে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পাই। দলের দূর্দিনে কাজ করেছি। আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নিয়েছি।
বন্দর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হাসান আরিফ ও সহসভাপতি বন্ধু শেখ কামালদের সাথে বন্দরে এসেও আমি বিএনপি-জামাতের চক্রান্তে পুলিশী নির্যাতনের শিকার হয়েছিলাম। পরবর্তীতে জীবনের তাগিদে সূদুর কাতারে প্রবাস জীবন যাপন করি। প্রবাসে থেকেও দলের প্রতি আনুগত্ত বিন্দু মাত্র কম ছিলনা। প্রবাসে থেকেও আমার দলীয় কর্মীদের খোজ খবর রেখেছি। প্রতিটি দলীয় কর্মসূচি কেমন ভাবে হচ্ছে খবর রেখেছি। ১৫আগষ্ট বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আমি প্রবাসে থেকেও আমার প্রিয় কলাগাছিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ,যুবলীগ ও আ’লীগের নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ রেখে মিলাদ মাহফিলে ভারচুয়াল ভাবে যোগাযোগ করে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি। দেশে করোনা প্রার্দূভাবে ঘরবন্ধী মানুষের বাড়ি বাড়ি খাবার পৌছে দিয়েছি।
কলাগাছিয়ায় শীতার্ত মানুষের পাশে দাড়িয়েছি। বর্তমানে বাংলাদেশে এসে আ’লীগের রাজনীতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছি। আমি কলাগাছিয়া ইউনিয়নের আ’লীগের সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছি। কলাগাছিয়া আ’লীগকে আমি ঢেলে সাজাতে চাই। সামনে কাউন্সিল হবে। আমি সভাপতি হই বা না হই শেখ হাসিনার কর্মী হয়ে মানুষের পাশে থেকে জনসেবা করে যাব সব সময়। একই পদে যারা প্রার্থী হয়েছে তারা কেউ আমার প্রতিপক্ষ নাই। আমি সবাইকে সম্মান করি এবং ভবিষ্যতে করব।
আর যারা বর্তমানে দলের ভিতর হাইব্রিট হয়ে ঘামটি মেরে বসে আছে তারা আমাকে চিনবে না। তারা না চিনার কারনেই আমাকে প্রবাসী বলে থাকে। অথচ আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারন করে ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে এ পর্যায়ে এসেছি। নারায়ণগঞ্জের গনমানুষের নেতা একেএম শামীম ওসমানের নির্দেশনায় বন্দর উপজেলা আ’লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা এমএ রশিদ ও সাধারন সম্পাদক কাজিম উদ্দিন ভাইয়ের অনুপ্রেরনায় আ’লীগের রাজনীতির সাথে সক্রীয় হয়েছি। মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। দলের জন্য কিছু করতে চাই। জীবনের বাকিটা সময় মানুষের কল্যানে কাজ করতে চাই। এজন্য আমি সবার সহযোগিতা চাই।