আসলাম উদ্দিন আহম্মেদ,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কালো ডিম পাড়লো দেশী পাতি হাঁস।দেখতে হাজারো মানুষের ভিড়।ঘটনাটি, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার। উপজেলার নদী বিচ্ছিন্ন নারায়ণপুর ইউনিয়নে ইব্রাহিম আলী ও রেহানা বেগম দম্পতি দেশি পাতি হাসঁ পালন করেন।একদিন হাঁসের ঘর খুলে দেখেন একটি কালো ডিম। পরের দিন ও আর একটি কালো ডিম দেখতে পান।

এই খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ডিম দেখতে প্রতিদিন তাদের বাড়িতে আসছেন অসংখ্য মানুষ। প্রাণিসম্পদ বিভাগ বলছে, জেলায় কোনও হাঁসের এ ধরনের ডিম দেওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম যা জেনেটিক কারণে হয়ে থাকতে পারে।উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী পূর্ব নারায়ণপুর প্রামানিক পাড়ার বাহার আলীর ছেলে ইব্রাহিম। তিনি কুড়িগ্রাম মজিদা কলেজের অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। তার স্ত্রী রেহানা বেগমও স্নাতক শ্রেণির শিক্ষার্থী। লেখাপড়ার পাশাপাশি তারা বাড়িতে আয় বর্ধক হিসেবে কৃষি কাজ ও হাঁস মুরগী পালন করেন। ছয় মাস আগে রেহানা বাবার বাড়ি থেকে পাঁচটি হাঁস উপহার হিসেবে পান।

প্রতিপালন করার পর এক পর্যায়ে ২৯ অক্টোবর একটি হাঁস কালো ডিম দেয়। রবিবার আরেকটি কালো ডিম দেয় হাঁসটি। খবর ছড়িয়ে পড়লে দূরদূরান্ত থেকে হাঁসের কালো ডিম দেখতে বাড়িতে ছুটে আসেন উৎসুক জনতা। তবে তৃতীয় দিন হাঁসটি কোনও ডিম দেয়নি বলে জানা গেছে।
ইব্রাহিম জানান, উপহার পাওয়া পাঁচটি দেশি প্রজাতির পাতি হাঁসের মধ্যে একটি পুরুষ হাঁস। বাকি চারটি স্ত্রী হাঁস। এদের মধ্যে দুটি কালো রং এর স্ত্রী হাঁস রয়েছে।

তিনি আরও জানান, তার অনুপস্থিতিতে তার স্ত্রী রেহানা বেগম হাঁসগুলোর দেখাশোনা করেন। হাঁসগুলোকে স্বাভাবিক খাবার দেওয়া হয় এবং প্রাকৃতিক পরিবেশে লালন-পালন করা হয়।

ইব্রাহিমের বড় ভাই আব্দুল মজিদ বলেন, ‘এমন ডিম দেখে অবাক হয়েছি। এর আগে এমন ডিম দেখিনি।’
প্রতিবেশী আব্দুল আজিজ বলেন, আমিও ‘হাঁসের ডিম দুইটা দেখেছি। দুটোই কালো রঙের। আমরা এমন ডিম আগে দেখিনি।’
নাগেশ্বরী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আশিকুজ্জামান বলেন, ‘নারায়ণপুরে পাতি হাঁসের কালো ডিম পাড়ার সংবাদটি শুনেছি। এটি একটি বিরল ঘটনা। এটা অস্বাভাবিক বিষয়। কোনও কারণে হাঁসের জরায়ুতে কোনও ইনফেকশন থাকার করণে কিংবা ডিম পরিপক্ব হতে যে পরিমাণ পিগমেন্টের দরকার সে পরিমাণ পিগমেন্টের অনুপস্থিতির কারণে এমনটা হয়ে থাকতে পারে।’
একই মত দিয়েছেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ইউনুস আলী। তিনি বলেন, ‘খবরটি শুনেছি। এ ধরনের ঘটনা এই জেলায় এটাই প্রথম বলে জেনেছি। জেনেটিক কারণে ডিমের রঙ এমনটা হয়ে থাকতে পারে। পরে আবার স্বাভাবিক রঙের ডিমও আসতে পারে। অন্তত এক সপ্তাহ এটি পর্যবেক্ষণে রাখলে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *