শেখ শহীদুল্লাহ্ আল আজাদ. খুলনা জেলা প্রতিনিধিঃ

খুলনায় প্রতি পিস ডিম ৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ২০শে এপ্রিল মঙ্গলবার খুলনা প্রেস ক্লাবের সামনে পিকআপ ভ্যানে করে এ দামে ডিম বিক্রি করা হয়। ডিমের মূল্য কম থাকায় ক্রেতাসমাগমও বেশ ছিল। দাম কম থাকায় একেক জন ক্রেতা ২০ থেকে ৪০টি পর্যন্ত ডিম কিনেছেন। মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে জনসাধারণের প্রাণিজ পুষ্টি নিশ্চিতকরণে এদিন ন্যায্যমূল্যে ভ্রাম্যমাণ দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি করা হয়।ভ্রাম্যমাণ এ কেন্দ্র থেকে ডিম কিনেছেন রুহুল আমিন। তিনি বলেন, বাজারে ডিমের দাম একটু বেশি। ক্লাবের সামনে দেখলাম পিকআপ ভ্যানে করে ডিম বিক্রি করছে। প্রতিটি ডিমের দাম মাত্র ৫ টাকা। এ জন্য ২০টি ডিম ক্রয় করেছি। অনেকেই সেখানে ভিড় করে ডিম কিনেছেন। কেউ কেউ ৪০টি ডিমও কিনেছেন।প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থায়নে বাস্তবায়ন করছে বিপিআইএ-এর খুলনা বিভাগীয় কমিটি ও খুলনা পোল্ট্রি ফিশ ফিড শিল্প মালিক সমিতি।খুলনা পোল্ট্রি ফিশ ফিড শিল্প মালিক সমিতির মহাসচিব এস এম সোহরাব হোসেন বলেন, করোনা পরিস্থিতি কঠোর লকডাউনে আরও দশদিন ভ্রাম্যমাণ ডিম বিক্রি করা হবে। মাইকিং করে সবাইকে দেওয়া হচ্ছে। একজন ২০ থেকে ৩০টি ডিম নিতে পারছেন। তিনি বলেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে পিকআপ ভ্যান ভাড়া দেওয়া হচ্ছে। আর আমরা স্বেচ্ছাশ্রমে প্রান্তিক খামারিদের কাছ থেকে স্বল্প মূল্যে ডিম কিনে বিক্রি করছি। সরকার ন্যায্যমূল্যে দরিদ্র মানুষের মাঝে ডিম বিক্রির একটি ভালো উদ্যোগ নিয়েছে। যেটি আমরা বাস্তবায়নে কাজ করছি ।সোহরাব হোসেন বলেন, করোনা উপেক্ষা করে ঝুঁকি নিয়ে আমরা পথে পথে ডিম বিক্রি করছি। উদ্দেশ্য এ লকডাউনে মানুষের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করা। ৯দিন ভ্রাম্যমাণভাবে ডিম বিক্রি করা হয়েছে। আরও ১০দিন ডিম বিক্রির পরিকল্পনা রয়েছে। প্রান্তিক ১৩ জন খামারির কাছ থেকে আজ ডিম আনা হয়েছে। বটিয়াঘাটা, ডুমুরিয়া ও ফুলতলা থেকে ডিম আনা হয়। এ টাকায় খামারিদের মুরগির খাবারের পয়সাও হয় না। তারা টাকার জন্য নয়, মানুষের জন্য কিছু করতে স্বল্প মূল্যে ডিম বিক্রি করছেন। শুধু মানুষের ভালোবাসা ও দোয়া পাওয়ার জন্য। তবে খামারিদের অনেকেই খুশি সরকারি প্রণোদনা পেয়ে। তার দেওয়া তথ্যমতে, খুলনায় ১৬ হাজার প্রান্তিক খামারি রয়েছে। ১ হাজার ৩৬৭ পোল্ট্রি খামার রয়েছে। হাঁসের খামার রয়েছে ২টি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *