তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর তানোরে নোভেল করোনা ভাইরাস দুর্যোগে কর্মহীন অসহায় দরিদ্র মানুষের দারিদ্রতা নিয়ে উপহাস ও প্রচারণার বস্তুতে পরিণত করা হচ্ছে
বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা বলছে, অধিকাংশক্ষেত্রে এসব নিম্ন আয়ের মানুষকে তারা তাদের প্রচার-প্রচারণার বস্তু হিসেবে ব্যবহার করছে যা অত্যন্ত অমানবিক, নিন্দনীয় ও অনৈতিক,
কারণ নৈতিকভাবে তারা এমন কাজ করতে পারেন না।

এদিকে অভিযোগের তীর উঠেছে, অনুপ্রবেশকারী, বিতর্কিত (হঠাৎ আওয়ামী লীগ) উড়ে এসে জুড়ে বসা এক বহিরাগত হাইব্রিড বসন্তের কোকিলের দিকে যার রাজনৈতিক জীবনটাই পালা বদলের। স্থানীয়রা বলছে, ইতমধ্যে তিনি তানোর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হবার খোয়াব দেখে তার অনুগত চাঁঙ্কু-পাঁঙ্কুদের প্রচারণার নামিয়েছে।

অনদ্যদিকে তিনি নিজেকে সম্বাব্য সভাপতি বিবেচনা করে তানোর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মেয়র ইমরুল হক, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রদিপ সরকার এমনকি উপজেলা চেয়ারম্যানকে মাইনাস করে পৌর এলাকায় বিভাজনের রাজনীতি শুরু করেছেন।এ ঘটনায় তৃণমুল বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।

কেউ কেউ বলছে, আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী নয় কৌশলে দুর্বল করার মিশন নিয়েই তিনি মাঠে নেমেছেন। জানা গেছে, কর্মহীন মানুষগুলোর ঘরে খাবার নাই, বাইরে কাজ নাই, ওষুধ কেনার পয়সা নাই, তাদের এখন বেশী প্রয়োজন চাল-ডাল-তৈল-আটা ইত্যাদি খাদ্য সামগ্রী। অথচ এসব না দিয়ে মাঝে মধ্যে এক টুকরো ইফতার বা দু’টাকা মুল্যর একটি মাস্ক, দিয়ে ১০ থেকে ১৫ জনের হাসি মুখের সেলফি বলে দেয় তারা আসলে কি চাই, দরিদ্র মানুষকে সহায়তা না কি, এসব মানুষের দারিদ্রতাকে পুঁজি করে নিজের

প্রচারণা-? কারণ এসব সেলফি ব্যতিত কি মানুষের পাশে দাঁড়ানো যায় না-? বরং এসব সেলফি দিয়ে দরিদ্র মানুষগুলোর মর্যাদা ডলে-মুচড়ে সমাজের কাছে তাদের ছোট করা হচ্ছে।এদিকে এসব খবর ছড়িয়ে পড়লে তৃণমুলে চরম ক্ষোভ অসন্তোষ দেখা দিয়েছে, এসব মানুষের দাবি তারা বহিরাগত নেতৃত্ব কখানোই মানবেন না।

এদিকে তাকে কখানো মানবতার ফেরিওয়ালা-অগ্রদূত, দাতা হাতেমতায়, কখানো বিশ্ববরণ্য ইত্যাদি উপাধি দিয়ে চাঁঙ্কু-পাঁঙ্কুরা প্রচারণা শুরু করেছে। অথচ ৯০ দশক থেকে সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী তার অনুগত নেতাকর্মীদের নিয়ে এই জনপদের মানুষের পাশে থেকে রাজনীতি করে এখানো এসব মানুষের সঙ্গেই রয়েছেন। তারা প্রায় তিন দশক ধরে এসব মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন, তবে এসব নিয়ে তাদের কোনো বাড়াবাড়ী বা আস্ফালন নাই, তারা আগেও যেমন ছিলেন এখানো তেমনই (মানুষের ভালবাসায়) রয়েছেন।

কিন্ত্ত বসন্তের কোকিল এবং তার চ্যালা-চামুন্ডাদের লাফালাফি ও সেলফিবাজী দেখে মনে হচ্ছে এই জনপদে আওয়ামী লীগের রাজনীতি তিনিই প্রতিষ্ঠিত করেছেন। আসলে এরা কুঁয়োর ব্যাঙ ডোবায় এসে এখন সুমুদ্র জয়ের স্বপ্ন দেখছে বলে মনে করছে তৃণমুল।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,

রাজশাহী-১ আসনের সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধূরীর পক্ষ থেকে তার প্রতিনিধি ও উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না তানোর এবং গোদাগাড়ীতে গোদাগাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম তাঁদের বিশাল কর্মী বাহিনী দুর্যোগের শুরু থেকে সাহায্য-সহযোগীতা নিয়ে নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে রয়েছেন। তবে এবারের উদ্যোগ ব্যতিক্রম উপজেলা চেয়ারম্যানদের মুঠোফোনে যারা ম্যাসেজ দিচ্ছেন তাদের নাম ঠিকানা গোপণ রেখে তাদের কাছে খাবার পৌচ্ছে দিয়ে আসছে তাদের কর্মীরা। এসব খাবার বিতরণে কোনো ফটো তোলা বা ফেসবুক পোস্ট দেয়া হচ্ছে না, মানবতা ও মানব সেবার উদেশ্যে এসব সহায়তা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *