আলিফ হোসেন,তানোরঃ
রাজশাহীর তানোরে পবিত্র রমজান মাসে বাজারে আগুন, প্রতিটি পণ্যর
দাম প্রায় দ্বিগুন, এর মধ্য চলছে কঠোর লকডাউন সাধারণের নাভিঃশ্বাস। এদিকে লকডাউনে জন জীবনে যখন নাভিঃশ্বাস তখন রমজানের শুরুতেই নিত্য পণ্যর
বাজারে আগুন। দাম বেড়েছে প্রয়োজনীয় সকল পন্যের অস্বাভাবিক হারে এতে ক্রেতারা চরম ক্ষুব্ধ। সরেজমিন দেখা গেছে, কুড়ি টাকা কেজির শসা প্রায় ৫০ টাকা, ৩০ টাকার বেগুন ৬০ টাকা, ৩৮০ টাকার দেশী মুরগী ৪৫০ টাকা, ৯০ টাকার সাজিনা ১২০ টাকা, ২৫ টাকার পুই শাক ৩৫ টাকা, কুড়ি টাকা হালির কলা ৩০ টাকা ও কুড়ি টাকা হালির লেবু ৪০ টাকা। তবে পেঁপে ও ডাটার দাম ছিল স্বাভাবিক। এছাড়াও আদা, জিরা, পেয়াজ, রশুনসহ প্রায় প্রতিটি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম প্রতি কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেশী। এদিকে ক্রেতা-সাধারণ অভিযোগ করে বলেন,, দেশে কোনো আইন-কানুন নেই। যে যার মতো দাম বাড়াচ্ছে, আর আমাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তা না হলে মাত্র দু’তিন দিনের ব্যবধানে কেজি প্রতি ১০ থেকে ৩০ টাকা দাম বাড়ে। ব্যবসায়ীরা ইচ্ছে করেই দাম বাড়াচ্ছে।
অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা বলছে, রোজায় কিছু পন্যের চাহিদা বেশি। তার পর লকডাউন শুরু হয়েছে।পন্যের আমদানি কম, ফলে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে মাল তাই বেশি দামে বিক্রি ছাড়া উপায় নেই। কিন্তু ভিন্ন চিত্র চাষীদের ক্ষেত্রে। মধ্যস্বত্ত্বভোগী ফড়িয়া চক্রের সিন্ডিকেটের কারণে চাষিরা তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য পানির দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। তানোর পৌর সদরের গোল্লাপাড়া বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী মোাতাহার আলী বলেন, রোজা ও লকডাউনের কারণে জিনিসের দাম বেড়েছে। স্বাভাবিক দিনে যে মাল এক-দুই মণ বিক্রি করি। দাম বেশি হওয়ার আজ বিক্রির জন্য এনেছি মাত্র এক মণ । বেশি দাম হলে বিক্রি হয় কম।
তিনি বলেন, বেগুন, শসা, গাজর, টমেটো, লেবুর দামও বেড়েছে। পেঁপে আলু ছাড়া কোনো সবজিই এখন ৪০-৫০ টাকার নিচে নেই। পুরো রমজান মাস এই দামে কিনতে হতে পারে বলে জানান তিনি।
