মোঃ মাহিদুল হাসান (মাহি) নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

বগুড়া জেলার পুলিশ সুপার মোঃ আলী আশরাফ ভূঞা (বিপিএম-বার) এর সার্বিক দিকনির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(প্রশাসন) আলী হায়দার চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে, জেলা গোয়েন্দা শাখা, বগুড়া’র পুলিশ পরিদর্শক মোঃ এমরান মাহমুদ তুহিনের নেতৃত্বে অত্র মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ শওকত আলম এবং এসআই মোঃ আলী জাহান সঙ্গীয় ফোর্সসহ নিখুত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত (৩০মে) শনিবার দিবাগত রাতে টাঙ্গাইল জেলাধীন বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানাধীন রেল ষ্টেশনের মূল প্রবেশ পথের সামনে হইতে বগুড়া জেলার সদর থানার এফ আই আর নং-৭৩, তারিখ ২৭ মে, ২০২১; ধারা ২৩(১)/২৫(২)/২৯(২) ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮; এর এজাহারনামীয় আসামীকে গ্রেফতার করা হয়।
আটককৃত আসামীর নামঃ
১। মোঃ সারোয়ার আরিফ ৥ আলিফ(২৫), পিতা মোঃ দেলোয়ার হোসেন, সাং কাঠাঁল বিলবোকা, থানাঃত্রিশাল, জেলাঃময়মনসিংহ।
আটককৃত আসামীরর হেফাজত হতে উদ্ধারকৃত আলামতঃ

১। ০১(এক) টি সোনালী রংয়ের HUAWEI মোবাইল ফোন দুইটি সিমকার্ড সহ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত আসামী জানায় যে, গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বাদীনির সহিত তাহার পরিচয় হয়। ফেসবুক আইডিতে চ্যাটিং ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগের এক পর্যায়ে আসামীর সাথে বাদীনির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সেই সূত্রে আসামী বাদীনির সহিত নাটোরে দেখা করতে এসে সেই দিনই তাহারা কুষ্টিয়াতে ঘুরতে যায় এবং ধৃত আসামী বাদীনিকে কুষ্টিয়াতে একটি আবাসিক হোটেলে এক রুমে থাকতে বাধ্য করে ।

এতে বদিীনি রাগারাগি করে আসামীর সহিত সম্পর্ক না রাখতে চাইলে ধৃত আসামী ভয় দেখিয়ে সম্পর্ক রাখতে বাধ্য করে। পরবর্তীতে উক্ত আসামী বাদীনিকে বিবাহের প্রলোভন দেখালে সম্পর্কটি স্থায়ী করার সিদ্ধান্ত নেয় বাদীনি এবং আসামীর সহিত খুলনা, সুন্দরবন, সেন্টমার্টিন, কিশোরগঞ্জ, ভৈরবসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যায়। সাত দিনের ট্যুরে সেন্টমার্টিন ঘুরতে গিয়ে হোটেল রুমে অবস্থানকালে ধৃত আসামী, বাদীনির অজান্তে গোপনে বাদীনির অশ্লীল ছবি ধারণ করে। বাদীনির টাঙ্গাইল জেলায় পোষ্টিং হলে ধৃত আসামী নিজে বাসা ভাড়া করে ভয় দেখিয়ে সেই বাসায় থাকতে বাধ্য করে। ইহা ছাড়াও বাদীনির পরিবার ও আত্বীয় স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করতে বাধা প্রদানসহ নানা রকম শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে।

পরবর্তী বাদীনি ঈদের ছুটিতে বাড়ি এসে অসুস্থতার কারণে ধৃত আসামীসহ কারো সাথেই ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে যোগাযোগ করতে না পারলে ধৃত আসামী, বাদীনিকে সন্দেহ করে পূর্বের ধারনকৃত অশ্লীল ছবি আসামী তার ব্যবহৃত ফেক ফেসবুক আইডি হইতে ম্যাসেজের মাধ্যমে বাদীনির বন্ধু-বান্ধব, অফিস স্টাফসহ বিভিন্ন আত্বীয় স্বজনের মেসেঞ্জারে সেই ছবি ছড়িয়ে দেয় এবং বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ হুমকি দেয়। গ্রেফতারকৃত আসামীর জব্দকৃত মোবাইলে এজাহারে উল্লেখিত ফেক ফেসবুক আইডিটি লগ-ইন অবস্থায় পাওয়া গিয়াছে এবং উক্ত ফেক ফেসবুক আইডি হতে বাদীনির অশ্লিল ছবি ম্যাসেজের মাধ্যমে বিভিন্ন ফেসবুক আইডিতে প্রেরণের তথ্য প্রমান পাওয়া যাইতেছে। ধৃত আসামীকে উপরোক্ত মামলায় বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হইয়াছে।

সাইবার পুলিশ বগুড়ার পক্ষ থেকে নারীদেরকে সোশ্যাল সাইট (ফেসবুক) ব্যবহারে আরো অনেক বেশি সতর্ক থাকতে অনুরোধ করা হচ্ছে। আজ যে আপনার বন্ধু কাল সে শত্রু হতে পারে। তাই অনলাইনে ভিডিও কলে কথা বলার সময় বিভিন্ন প্রলোভন বা প্রতিশ্রুতি দিয়ে কৌশলে আপনার একান্ত ছবি নিয়ে করতে পারে ব্লাক মেইল।
#এধরনের ছবি আদান প্রদান এভোয়েড করুন অনলাইন/অফলাইন এ নিরাপদ থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *