বন্দর প্রতিনিধি: বন্দরে দিপালী রানী দাস (৩৮) নামে এক মধ্যবয়সী নারীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় থানায় অজ্ঞাত আসামী করে মামলা দায়ের হয়েছে। এদিকে স্থানীয় জনতা জখমপ্রাপ্ত স্বামী শ্যামা চন্দ্র দাসকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহতকে ঢামেক হাসপাতালে প্রেরণ করে।

এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই রিপন চন্দ্র দাস বাদী হয়ে গত শুক্রবার (১র্মাচ) দুপুরে বন্দর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং – ৩(৩)২৪ ধারা- ৩০৭/ ৩২৬/ ৩০২/৩৪ পেনাল কোড-১৮৬০। এদিকে পুলিশ আটককৃত বাড়ির কেয়ারটেকার মা ফরিদা বেগম (৩৭) ও তার ছেলে সিয়াম (২০)কে উল্লেখিত মামলার সন্নিগ্ধ আসামী হিসাবে শনিবার (২ র্মাচ) দুপুরে আদালতে প্রেরণ করছে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টা হইতে শুক্রবার (১ র্মাচ) সকাল সাড়ে সাড়ে ৮টার মধ্যে যে কোন সময়ে বন্দর থানার ২২ নং ওয়ার্ডের বন্দর লেজার্স এলাকায় এ হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটে।
নিহত দীপালী রাণী দাস ও আহত শ্যামা চন্দ্র দাসের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ি এলাকায় বলে জানায় পুলিশ জানায়। আহত শ্যামা চন্দ্র দাস পেশায় একজন মুচি।

নিহতের মেয়ে মলি জানান, তারা চার বোন। দুই বোন বিয়ের পর শ্বশুর বাড়িতে থাকে। গত বৃহস্পতিবার রাতে পাশের বাড়ির বিয়ের অনুষ্ঠানে উচ্চ শব্দে গান বাজছিল। মায়ের অনুমতি নিয়ে বোনকে নিয়ে তিনি বিয়ের অনুষ্ঠান দেখতে যান। । পরে সেখান থেকে এসে দরজা খোলা পেয়ে ভেতরে প্রবেশ করে ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে মাকে গার্মেন্টসে যাবার জন্য ডাকতে গেলে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখি।

পাশেই তার বাবা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন।
মলি আরো জানায়, ফরিদার সাথে গ্যাসের চুলার রান্না নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল তাদের। সেই দ্বন্দ্ব থেকেই তার মাকে হত্যা ও বাবাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আবু বকর সিদ্দিক জানান, নিহত দিপালী রানী দাস হত্যাকান্ডের ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। আহত শ্যামা চন্দ্র ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

নিহতের মেয়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ফরিদা ও তার ছেলেকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর আটককৃতদের উল্লেখিত মামলার সন্নিগ্ধ আসামি হিসাবে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। তদন্তের পর হত্যাকান্ডের কারণ সম্পর্কে জানা যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *