বন্দর প্রতিনিধি
:
বন্দরে দাবিকৃত ৩ লাখ টাকা যৌতুক না পেয়ে গৃহবধূকে অমানবিক নির্যাতনের ঘটনায় পাষান্ড যৌতুক লোভী স্বামীসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের হয়েছে।

এ ঘটনায় নির্যাতিত গৃহবধূ তাসনিম আলম তানহা বাদী হয়ে রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। এদিকে পুলিশ মামলা দায়েরের ওই দিন দুপুরে বন্দর থানার ২৬৬নং উইলসন রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা ৪নং এজাহারভূক্ত আসামী শাহ নেওয়াজ (৫৭)কে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত শাহ নেওয়াজ উল্লেখিত এলাকার মৃত বাহাউািদ্দন মিয়ার ছেলে।

ধৃতকে ওই দিন দুপুরে উল্লেখিত মামলায় আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। যার মামলা নং- ২৮(৯)২৩। এর আগে গত ১ আগস্ট রাত ৮টায় বন্দর থানার ২৪নং ওয়ার্ডের নবীগঞ্জ উইলসন রোডস্থ কদম রসুল কলেজ সংলগ্ন এলাকায় গৃহবধূ নির্যাতনের ঘটনাটি ঘটে।

পলাতক আসামীরা হলো ঢাকা ধানমন্ডি থানার জিগাতলা রোডনং- ১০/এ ৩৭/এ ফ্লাট নং-সি/২ এলাকার মৃত শাহ মোহাম্মদ মিয়ার ছেলে পাষান্ড যৌতুক লোভী স্বামী শাহ মোহাম্মদ এজাজ (৩২) শ্বাশুড়ী মাকসুদা বেগম (৫২) বন্দর থানার ২৬৬নং উইলসন রোডস্থ কদম রসুল কলেজ সংলগ্ন এলাকার মৃত বাহাউদ্দিন মিয়ার মেয়ে নুরুন নেওয়াজ কাজল (৫৫) ও ঢাকা মতিঝিল থানার গোপীবাগ এলাকার শাহাব উদ্দীন মিয়ার মেয়ে রুবিনা বেগম (৬০)।

নারী শিশু নির্যাতন মামলার তদন্তকারি কর্মকতার্ এসআই মোঃ আব্দুস সামাদ পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন স্থানে গ্রেপ্তার অভিযান অব্যহত রেখেছে। মামলা তথ্য সূত্রে জানাগেছে, গত ২ বছর পূর্বে বন্দর থানার ১৩৮/০৩ নং উইলসন রোড এলাকার বদরুল আলম মৃধা মিয়ার মেয়ে তাসনিম আলম তানহা সাথে ঢাকা ধানমন্ডি থানার জিগাতলা রোডনং- ১০/এ ৩৭/এ ফ্লাট নং-সি/২ এলাকার মৃত শাহ মোহাম্মদ মিয়ার ছেলে পাষান্ড যৌতুক লোভী স্বামী শাহ মোহাম্মদ এজাজের ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়।

বিয়ের সময় মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে মেয়ের পরিবার নগদ ৫লাখ টাকা ও ১৩ ভড়ি স্বার্ণালংকার যৌতুক হিসেবে প্রদান করে। বিয়ের পর হইতে ২নং বিবাদী ও ৩নং বিবাদী কুপরামর্শে ১নং বিবাদী যৌতুক লোভী স্বামী বিভিন্ন সময়ে যৌতুক দাবি করে আসছিল। এর ধারাবাহিকতায় গত ১ আগস্ট ৩নং বিবাদী ৪নং বিবাদী ও ৫নং বিবাদী কুপরামর্শে গৃহবধূর নিকট ৩ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। ওই সময় গৃহবধূ যৌতুক দিতে পারবেনা বলে জানালে ওই সময় যৌতুক লোভী স্বামী ও শ্বাশুড়ী ক্ষিপ্ত হয়ে গৃহবধূকে অমানবিক ভাবে নির্যাতন করে গুরুত্বর আহত করে।

এ ব্যাপারে নির্যাতিত গৃহবধূ বাদী হয়ে বন্দর থানায় পাষান্ড স্বামী ও শ্বাশুড়ীসহ ৫ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ মামলার ৪নং এজাহারভ্থক্ত আসামীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *