তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ
ভিসির নির্দেশ মানতে অপারগতা প্রকাশ করে রাজশাহীর তানোর মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ অনুকুল কুমার ঘোষ ফের আলোচনায় উঠে এসেছেন। এতে প্রশ্ন উঠেছে কে বড় ভিসি না মামুলি একজন অধ্যক্ষ। এ ঘটনায় কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। কেউ কেউ আবার অধ্যক্ষ অনুকুলের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেছে।কলেজের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জৈষ্ঠ শিক্ষক বলেন, ভিসি মহোদয়ের কোনো নির্দেশনা কোনো অধ্যক্ষ এড়িয়ে যেতে পারেন না এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলেও বিবেচিত, এর জন্য কলেজ ক্ষতির মুখে পড়লে তার দায় নিবে কে-? তিনি বলেন, ভিসি মহোদয় যেকোনো সময় যে কাউকে যেকোনো কলেজের সভাপতি মনোনিত বা বাতিল করার ক্ষমতা রাখেন আইন করে তাকে সেই ক্ষমতা দেয়া হয়েছে,এটা নিয়ে কোনো অধ্যক্ষ বা শিক্ষক প্রশ্ন তুলতে পারে না, কেউ করলে সেটা শাস্তি যোগ্য অপরাধ। তিনি আরো বলেন, অধ্যক্ষ অনুকুলই তাকে সভাপতি হতে উৎসাহ দিয়ে সহযোগীতা করে এখন তাকেই মানতে পারছে না এর নেপথ্যে মাযেযা কি-?

জানা গেছে, তানোর মহিলা ডিগ্রী কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুশান্ত কুমার মাহাতো। সম্প্রতি তিনি বদলি হয়ে গেছেন। এদিকে গত ৪ মার্চ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তালন্দ লোলিত মোহন ডিগ্রী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সেলিম উদ্দিন কবিরাজকে তানোর মহিলা ডিগ্রী কলেজের সভাপতি মনোনিত করে পত্র দেয়া হয়। অন্যদিকে সেলিম উদ্দিন কবিরাজকে সভাপতি করতে সুপারিশ করেন একজন প্রতিমন্ত্রী, একজন সিটি মেয়র, একজন এমপি ও আওয়ামী লীগের একজন কেন্দ্রীয় নেতা। কিন্ত্ত তানোর মহিলা ডিগ্রী কলেজ অধ্যক্ষ অনুকুল কুমার ঘোষ তাকে সভাপতি মানতে অসম্মতি জানিয়ে নানা কৌশলে কালক্ষেপণ করছে। এতে শিক্ষক-কর্মচারীদের চরম ক্ষোভের সৃস্টি হয়েছে। কেউ কেউ বলছে, তাকে সভাপতির দায়িত্ব দিতে অসম্মতি জানিয়ে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে সুপারিশকারীসহ ভিসির প্রতি চরম অবজ্ঞা বা অবমাননা প্রদর্শন করেছে অধ্যক্ষ অনুকুল যা একজন দায়িত্বশীল অধ্যক্ষ কখানো করতে পারেন না। অপরদিকে সভাপতি মনোনিত করা নিয়ে শিক্ষক-কর্মচারীরা দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ায় কলেজের স্বাভাবিক কর্মকান্ড মুখ থুবড়ে পড়েছে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ অনুকুল কুমার ঘোষ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আগের কমিটির মেয়াদ এখানো রয়েছে, তাছাড়া তারা সভাপতির জন্য কোনো চাহিদাপত্র দেননি। তিনি বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কাউকে সভাপতি করে চাপিয়ে দিলেই তারা সেটা মানতে পারেন না। তিনি আরো বলেন, স্থানীয় এমপিমহোদয়ের অনুমতি ব্যতিত তিনি কোনো করতে পারেন না,তাই তার সঙ্গে কথা বলার পরে এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে সদ্য বিদায়ী উপেজলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, বিষয়টি তার জানা নাই।এবিষয়ে সাবেক অধ্যক্ষ সেলিম উদ্দিন কবিরাজ বলেন, তার অধ্যক্ষতা করার বয়স ৩৮ বছর। তিনি বৈধভাবে সভাপতি মনোনিত হয়েছেন, তবে অধ্যক্ষ কেনো তাকে দায়িত্ব দিতে অসম্মতি প্রকাশ করছে সেটা তার বোধগম্য নয়।#

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *