আনোয়ার হোসেন আকাশ,
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:

বাবা-মায়ের স্বপ্ন ছিলো ছেলে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করবেন। সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দিলেন স্বপ্ন সামিউল্লাহ নামে এক মেরিন ইন্জিনিয়ার। শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে বউ নিয়ে হেলিকপ্টার চড়ে নিজের বাড়িতে যান তিনি।

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

স্বপ্ন সামিউল্লাহ উপজেলার নেকমরদ ইউনিয়নের ভবানন্দপুর গ্রামের শরিফ হাসান ও শাহানুর আক্তার দম্পতির ছেলে। তিনি সিঙ্গাপুরের ইস্টার্ন ফেসিবিক শিপিং লিমিটেড নামে একটি প্রাইভেট কোম্পানির মেরিন ইন্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত আছেন। কনে মুনতারিন নাজনীন সুইটি পাবনা সদর এলাকার বাসিন্দা ইসাহাক আলী মেয়ে। সে এবার ঢাকা কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ মগবাজার থেকে এমবিবিএস ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা দেন।

আজ দুপুরে স্ত্রীকে নিয়ে পাবনা থেকে একটি হেলিকপ্টারে চড়ে নেকমরদ সরকারি আলিমুদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আসেন বর সামিউল্লাহ । এসময় তার সাথে ছিলেন বরের দুইবোন সোনিয়া ও সুমি আক্তার।

হেলিকাপ্টারে চড়ে নতুন বউ আসবে বলে এলাকায় জড়ো হয় হাজারো মানুষ। বর-কনেকে ফুলেল শুভেচ্ছা দিয়ে বরণ করে নেন বরপক্ষের আত্মীয় স্বজনরা।

স্বজনরা জানান, সামিউল্লাহ যখন ছোট তখন থেকেই তার বাবা-ময়ের স্বপ্ন ছিল ছেলে বউকে হেলিকপ্টারে চড়িয়ে বাড়িতে আনবেন। বাবা-মায়ের সেই স্বপ্ন পূরণ করতেই হেলিকপ্টারে চড়ে বউ সঙ্গে নিয়ে সে পাড়ি জমান নিজ বাড়িতে।

সামিউল্লাহর বাবা শরিফ হাসান বলেন, ‘সামিউল্লাহ যখন ছোট ছিল তখন থেকেই বলতাম তুই বিয়ে করে হেলিকপ্টারে বউ আনবি। আমার ছেলের বউয়ের বাড়ি পাবনা সদরে। চিন্তা করলাম হেলিকপ্টারে তো নিয়ে আসা যায়। ছেলের বউয়ের সঙ্গেও আলাপ করলাম তোকে দহেলিকপ্টারে নিয়ে আসবো। শুনে সেও খুব খুশি হয়। এভাবেই হেলিকপ্টারে ছেলে ও তার বউকে নিয়ে আসলাম।’

কনে ,মুনতারিন নাজনীন সুইটি বলেন ‘আমার স্বামী আজ তার বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করেছে। এতে আমি অনেক আনন্দিত।‘

হেলিকাপ্টারে বউ আনার বিষয়ে সামিউল্লাহ বলেন, ‘আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন থেকেই আমার বাবা মায়ের খুব ইচ্ছা আমি যেন হেলিকপ্টারে করে বউ নিয়ে আসি। বাবা মায়ের ইচ্ছা পূরণ করতেই আজ হেলিকাপ্টারে করে বউ আনলাম।

জানা যায় গত ২৫ এপ্রিল মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিয়ে হয় সামিউল্লাহ ও মুনতারিন নাজনীন সুইটির। বিয়ের পর মেয়ে বাবার বাড়িতেই ছিল। শনিবার তাকে আনুষ্ঠানিক ভাবে ছেলের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *