আনোয়ার হোসেন আকাশ,
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:

সরকারের বেঁধে দেওয়া দামকে উপেক্ষা করে ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলার সাপ্তাহিক কাতিহার ও নেকমরদ হাটে আলু ও পেয়াজ বেশি দামে ক্রয় বিক্রয় হয়েছে। ক্রেতারা বলছেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সঠিক বাজার মনিটরিং এর অভাবেই এভাবে দাম বেশি নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে ফড়িয়া ও খুচরা বিক্রেতারা।

সম্প্রতি বাণিজ্যে মন্ত্রণালয়, আলু পাইকারী সবোর্চ্চ্ ২৬ থেকে ২৭ টাকা, খুচরা বিক্রি ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা, পেয়াজ পাইকারী ৫৩ থেকে ৫৪ টাকা,খুচরা বিক্রি ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। এবং সারা দেশে নির্ধারিত এ দামে আলূ পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে কিনা তা তদারকির জন্য জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

শনিবার উপজেলার সাপ্তাহিক কাতিহার ও নেকমরদ হাটে গিয়ে দেখা যায়,খুচরা বিক্রেতারা আলু,পেয়াজের দোকান সাজিয়ে রয়েছেন। তারা দেশি পেয়াজ ৮০ টাকা কেজি ও হাইব্রিড (চালানি পেয়াজ) ৭০ টাকা ধরে বিক্রি করছেন। অপরদিকে দেশী আলু ৫০ টাকা,কার্ডিনাল আলু ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক খুচরা বিক্রেতা বলেন,আমরা সরকারের বেঁধে দেওয়া পাইকারী দামে আলু,পেয়াজ কিনতে পারছি না। সরকার খুচরা বিক্রির জন্য যে দাম নির্ধারণ করছে তার থেকেও বেশি দামে পাইকারী কিনতে হচ্ছে তাহলে আমরা বিক্রি করবো কত? তাই যা ক্রয় করছি তার থেকে ৪ থেকে ৫ টাকা লাভ রেখে আলূ পেয়াজ বিক্রি করছি।

তারা বলেন, খুচরা বিক্রেতাদের না ধরে যা পাইকারী বিক্রি করে তাদের প্রতি নজরদারী দিলেই আলূ পেয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণ হবে বলে দাবী তাদের।

কাতিহার বাজারের আলু ক্রেতা সাব্বির আলী বলেন, সাপ্তাহিক হাটে বাজার করতে আসি কম দাম পাবো বলে। অথচ এখানে এসে দেখি সরকারীভাবে বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে বেশি দামে আলু,পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে। তিনি বলেন দুই কেজি আলূ ক্রয় করলাম ১০০ টাকায়।

আরেক ক্রেতা সফিকুল ইসলাম বলেন, পেয়াজ নাকি দাম কম অথচ হাটে পেয়াজের সর্বনিন্ম দর ৭০ টাকা। এছাড়াও কাতিহার হাটে বাজার করতে আসা মনিরুল,ইয়াসিন,মাসুদসহ অন্তত দশ জন ক্রেতা বলেন, সরকারী দরের থেকে ১০ থেকে ১৫ টাকা কেজি প্রতি বেশি দরে খুচরা বিক্রি হচ্ছে আলু, পেয়াজ। ক্রেতারা মনে করছেন উপজেলা প্রশাসনের সঠিক তদারকির অভাবেই সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে আলূ পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে না।

জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহরিয়ার রহমান মুঠোফোনে বলেন, বাজার তদারকি রয়েছে। আপনি যেহেতু বললেন সাপ্তাহিক কাতিহার হাটে বেশি দামে আলু, পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে। তাহলে মোবাইল কোর্ট করতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *