মোঃআবু কাওছার মিঠু
রূপগঞ্জ নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জে নির্মান শ্রমিক সুমন(২৫) মৃত্যুর দুই বছর পেরিয়ে গেলেও সঠিক বিচার পায়নী মৃতের পরিবার।

সুমন, প্রায় ১০ বছর যাবৎ কাঞ্চন পৌরসভার অন্তর্গত শাহ আলম মোল্লার বাড়িতে ভাড়া থাকতো, এবং কাঞ্চন এলাকায় নির্মান শ্রমিকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। ঘঠনার দিন সুমন শাহ আলম মোল্লার প্রতিবেশী সাইজদ্দির বাড়িতে কাজ করতে যায়। কাজ করতে গিয়েই ঘটে বিপত্তী।

ঘঠনার বর্ণনা দিতে গিয়ে ভাড়াটিয়া বাড়ির মালিক ও সুমন হত্যা মামলার বাদী শাহ আলম জানায়, সেদিন ছিল ১৪/০৭/২০২১ ইং বুধবার বিকাল আনুমানিক ৩ঃ০০ ঘটিকা। প্রতি দিনের ন্যায় সুমন আমার প্রতিবেশি সাইজদ্দিনের বাড়ির ভিতরে পূর্ব দিকে একতলা ভবনের নির্মান কাজের ছাদ ডালাইয়ের জন্য রড কাটার কাজে নিয়োজিত ছিল।

তার কাজের জায়গা থেকে প্রায় ৫০ গজ দূরে ডেকে নিয়ে তাকে আম গাছের ডাল কাটতে বলে, সে ডাল কাটতে অস্বীকার করে বলে এখানে বিদ্যুতের তার আছে আমি ডাল কাটতে পারবো না। তাছাড়া ডাল কাটাও আমার কাজ না। তখন সাইজদ্দিন ও তার ছেলে শান্ত গাছ না কাটলে তাকে আর কাজে নিবে না, পাওনা টাকাও দিবেনা ও মারধরের হুমকী দিয়ে ডাল কাটতে বাধ্য করে।

আম গাছের ডাল কাটতে উঠে, ডাল কাটা অবস্হায় ১১০০০ ভোল্টের বিদ্যুতের তারের সাথে লেগে বিদ্যুত স্পৃষ্ট হয়ে তার সমস্ত শরীর পুরে যায় এবং সে প্রায় ২৫ ফুট উচু দোতলা ভবনের ছাদের কিনারায় আঘাত পেয়ে নিচে নির্মানাধীন ড্রেনের উপর পড়ে যায়। আহত অবস্থায় সেদিন জুয়েল ও ফয়সাল সুমনকে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ভর্তি করে।

এক সপ্তাহ ICU-তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে ২১/০৭/২০২১ ইং তারিখে রাত্র ৩ঃ০০ ঘটিকায় সুমন শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে মৃত্য বরন করে। সুমনের বাবা ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে তার ছেলে সুমনের ময়না তদন্ত করায়।
পরিকল্পিত হত্যার ঘটনাকে আরাল করতে সাইজদ্দিন ও তার ছেলে শান্ত সুমনের বাবাকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে কৌশলে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়।

পুত্র শোকে সুমনের বাবাও কিছু দিন পর মৃত্যুবরন করে।
সুমনের মৃত্যুর পর সাইজদ্দিন পুলিশকে বিভিন্নভাবে প্রবাবিত করে একটি অপমৃত্যুর মামলা রুজু করায়। উক্ত মামলায় একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড কে দূর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেয়া হয়।

ভাড়াটিয়া বাড়ির মালিক শাহ আলম মোল্লা বিভিন্নভাবে রূপগঞ্জ থানায় বাদী হয়ে মামলা রুজু করাতে ব্যর্থ হয়ে বিজ্ঞ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ”গ” অঞ্চল নারায়নগঞ্জ আদালতে মামলা দায়ের করেন । মামলার তদন্তে থানা পুলিশের ব্যর্থতা প্রমানিত হলে, আদালত মামলার তদন্তভার সিআইডির কাছে ন্যস্ত করেন । শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নারায়নগঞ্জ সিআইডি মামলার তদন্তের দায়িত্বে আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *