মোঃ মাসুদ রানা, রিপোর্টার

নীলফামারী সদর ও জলঢাকা উপজেলায় হঠাৎ ঝড়ের আঘাতে মুহূর্তেই শতাধিক ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড হয়েছে। ঝড়ে ঘরবাড়ি হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো এখন খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে।

সোমবার (১৫মে) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে সদর উপজেলা লক্ষীচাপ ও জলঢাকা উপজেলার শিমুলবাড়ি সহ আসেপাশের কয়েকটি গ্রামে ঝড় আঘাত হানে।এক ঘণ্টাব্যাপী এ ঝড়ে শতাধিক কাঁচাপাকা বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ঝড়ে গাছপালা, বিদ্যুতের খুঁটি ও সবজি বাগান লন্ডভন্ড হয়ে ব্যাপক ক্ষতি খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও ঝড় আর শিলা বৃষ্টিতে ঘরের মূল্যবান জিনিসপত্রসহ নষ্ট হয়েছে শিক্ষার্থীদের বই খাতাসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।

ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত শিমুল বাড়ি এলাকার আব্দুস সাত্তার বলেন, আমার ২ টা টিনের ঘর একটি হেলে গেছে একটি পুরো ভেঙে গেছে৷ এখন ঠিকঠাক করতেছি। হটাৎ করে রাতে ঝড় টা আসে৷ ঝড় আসার আগে প্রচন্ড বাতাস বইছিল।

জানিনা কিভাবে কি করব সবার সহযোগীতা চাই। লক্ষীচাপ আকাশকুড়ি এলাকার শাহীন আলম বলেন, আমাদের পাড়ার প্রায় ২০-২৫ টা ঘর ভেঙ্গে গেছে। আমাদের গরুর ঘরটা ভেঙ্গে গেছে। হটাৎ করে বাতাস শুরু হলো রাতে। দিনের বেলা তো প্রচন্ড রোদ ছিল।

এবিষয়ে লক্ষীচাপ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম জানান, আমার ইউনিয়নের আকাশকুড়ি এলাকা সহ আসে পাশের বেশ কয়েকটি এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় ১০০ অধিক ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে৷ আমরা ক্ষয়ক্ষতির নিরপণের চেষ্টা করছি এবং তালিকা করছি যা উপজেলা পরিষদের পাঠানো হবে। জলঢালা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মঈনুল ইসলাম বলেন, ঝড়ে বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে খবর পেয়েছি।

চেয়ারম্যানকে তালিকা পাঠাতে বলা হয়েছে, তালিকা পেলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলোকে সহায়তা দেওয়া হবে। নীলফামারী সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, সঠিক কতগুলো ঘরবাড়ি কিংবা ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনো জানতে পাইনি। তালিকা পেলে সহযোগীতা করা হবে।

এবিষয়ে জেলার ডিমলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানান, ঝড়ের বিষয়ে আগে থেকেই আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস ছিল রংপুর অঞ্চলের কিছু এলাকায় ঝড়হাওয়া ও বৃষ্টি হতে পারে এবং তা হয়েছে। আগামী ১৮ মে এই এলাকায় হাল্কা ও মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *