ইন্দ্রজিৎ টিকাদার, বটিয়াঘাটা (খুলনা)প্রতিনিধি:
আগামী ২৬ ডিসেম্বর বটিয়াঘাটা উপজেলার চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে গতকাল মঙ্গলবার চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৬৮ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্যা পদে ১৩ জন সর্বমোট ৮৬ জনের মাঝে প্রতিক বরাদ্দ দিয়েছে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মোঃ আব্দুস সাত্তার।

উক্ত ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে যে সকল প্রার্থী প্রতিক বরাদ্দ নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তারা হলেন, আনারস প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আশিকুজ্জামান আশিক,মোটরবাইক প্রতিক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী সদ্য আ’লীগে যোগদানকারী বারবার নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর মোল্লা, ঘোড়া প্রতিক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ—সেবক মোঃ বিদার শিকদার, হাতপাখা প্রতীক নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মোঃ শরিফুল ইসলাম এবং নৌকা প্রতীক নিয়ে আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী জলমা ইউনিয়ন আ’লীগের সহ—সভাপতি ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিধান রায়।

ইতিমধ্যে অনেক প্রার্থী প্রতিক বরাদ্দের পূর্বে প্যানা পোস্টার ছাপিয়ে প্রচার প্রচারণা শুরু করেছে। উল্লেখ্য এ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে সর্বমোট ৯ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তাদের মধ্যে জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে মোঃ মিজানুর রহমান ইলাহী আইনের জটিলতার কারণে যাচাই— বাছাই সময়ে তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে বাদ পড়েছে। এছাড়া গত সোমবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে আ’লীগের ৩ বিদ্রোহী প্রার্থী নৌকার প্রার্থী বিধান রায়ের নৌকা প্রতীকে সমর্থন জানিয়ে তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। প্রত্যাহারিত আ’লীগের ৩ বিদ্রোহী প্রার্থীরা হলেন, উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক জলমা ইউনিয়নের নৌকার মাঝি অনুপ গোলদার, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বর্তমান ওয়ার্ড আ’লীগ নেতা নারায়ন চন্দ্র রায় ও সমাজ সেবক এ্যাডভোকেট প্রসেনজিৎ দত্ত ।

গতকাল ৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার চতুর্থ ধাপে জলমা ইউনিয়ন নির্বাচনে ৫ জন চেয়ারম্যান পদে,৬৮ জন সাধারণ সদস্য পদে এবং ১৩ জন সংরক্ষিত সদস্যা পদের প্রার্থী তাদের মনোনীত প্রতিক বরাদ্দ পেয়েছে। ইতিমধ্যে সকল পদের প্রার্থীরা তাদের মনোনীত প্রতিক বরাদ্দ পেয়ে স্ব—স্ব দলীয় অনুসারীদের সাথে নিয়ে জোরেশোরে মাঠে নেমে পড়েছে । প্রচার—প্রচারণা ভোটারদের সমর্থন পেতে কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি না।

উল্লেখ্য ইতিপূর্বে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬টিতে প্রথম ধাপে গত ২০সেপ্টম্বর এবং দ্বিতীয় ধাপে গত ১১নভেম্বর ইউপি নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে । আগামী ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে উপজেলার একটি মাত্র জলমা ইউনিয়নে ইউপি নির্বাচন হওয়ায় উৎসব মূখর পরিবেশে ভোট অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করছে, প্রার্থী, স্ব—স্ব দলীয় নেতা— কর্মীও সাধারণ ভোটাররা । সবমিলিয়ে চতুর্থ ধাপে জলমা ইউনিয়নের ইউপি নির্বাচনে নির্বাচনী হাওয়া পুরো দমে বইতে শুরু করেছে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *