ষ্টাফ রিপোর্টারঃ-বিগত কয়েকদিন যাবত নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলার ধামগড় ও মুসাপুর ২ ইউনিয়নের শেষ অংশে অবস্থিত মালিবাগ,চান্দেরবাড়ি এলাকার ১৫ বছরের কিশোর ও ৭ বছরের শিশুর খেলা নিয়ে জগড়ার সুত্র ধরে বন্দর থানায় উভয় পক্ষের একাধিক অভিযোগ,এলাকাবাসীর দফায় দফায় মানববন্দন,নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে বাদীর প্রেস বিজ্ঞপ্তি,পুলিশের টহল,সব মিলিয়ে এলাকাজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

গত ০৬-০৩-২০২১ ইং তারিখে মুক্তা বেগম (৩২) স্বামী মোঃতরিকুল ইসলাম বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন যেখানে তিনি উল্যেখ করেন ওনার ছেলে তুহিন (৭) কে প্রতিবেশী বিল্লাল মিয়ার ছেলে আবির (১৬) একদিন আগে চান্দের বাড়ির খেলার মাঠে এলোপাথাড়িভাবে কিলগুসি মেরে আহত করে।উক্ত ঘটনা জানানোর জন্য প্রতিবেশী বিল্লালের বাড়িতে গেলে বিবাদী ১।আলী আকবর (৬০) পিতা অজ্ঞাত,২। ওয়াসিম(৩০) পিতা- বাতেন,৩। আসমা (৩৩) সামী-বিল্লাল,৪। বিল্লাল(৪০) পিতা-আমির হামজা,৫।মাসুম(৩৫) পিতা-আছিমুদ্দিন (মৃত) এই ৫ জন উনাকে এবং ওনার ছেলে তুহিনকে প্রাননাশের হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেন।

অভিযোগের ভিত্তিতে সেইদিনই কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের এস আই আজিজুল হক ঘটনাস্থলে যায় তদন্তের জন্য।মুক্তা বেগম তার ছেলেকে মারধরের ঘটনায় ২ জন সাক্ষীর নাম দেন,১।ফারুক ২। মাকসুদা বেগম।

পুলিশ ঘটনাস্থল ত্যাগ করার সাথে সাথেই ১ নং সাক্ষী, ফারুক ঘটনা জানেননা উল্যেখ করে এবং সাক্ষী দিতে অনিহা প্রকাশ করেন।পুরো চান্দেরবাড়ি এলাকাবাসী রাস্তায় নেমে সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে মেম্বার ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার হাবিবুর রহমানের মিমাংসার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান ও ইতিপূর্বে অনেককেই বিভিন্ন ঘটনায় পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদ করেন।

সেই থেকেই শুরু হয় থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ। একদিকে গ্রামবাসী অপরদিকে মুক্তা বেগম ও সাক্ষী মাকসুদা বেগমের মিডিয়া যুদ্ধ।

নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে ১৩ তারিখে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মুক্তা বেগম তার বাড়িঘরে হামলা,ধর্ষণের হুমকি সহ বেশকিছু অভিযোগ করেন।সাংবাদিকরা মুক্তা বেগমকে চেয়ারম্যান মেম্বার এর মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি কৌশলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।
জবাবে পরেরদিন ১৪ তারিখে এলাকাবাসী মানববন্দন করে মুক্তা বেগমের বাড়িঘরে হামলা ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে প্রতিবাদ জানান।এলাকাবাসীর পাশাপাশি মুক্তা বেগমের শশুড় শাশুড়ি অভিযোগকে বানোয়াট দাবী করে ছেলের বউয়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ করেন।

চান্দেরবাড়ি সহ ধামগড় ও মুসাপুর ইউনিয়নের সকলেই প্রত্যাশা করেন প্রশাসনের সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত বিষয়টা সমাধান হবে।

এই বিষয়ে কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ সুজন হক জানান দুই পক্ষ্যের অভিযোগ তদন্ত চলছে।সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *