আঃ হামিদ মধুপুর (টাঙ্গাইল)প্রতিনিধিঃ

টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার আলোকদিয়া ইউনিয়নের আকাশী ফুলবাড়ী মোড় হতে রানিয়াদ ভাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত সড়কটি বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। ফলে গ্রামবাসীদের চলাচলের ভোগান্তি দিন দিন বেড়েই চলছে।

এলাকাবাসী জানান, মধুপুর পৌরশহর ও আলোকদিয়া ইউনিয়নের পাশ দিয়ে চলে গেছে আকাশী ফুলবাড়ী মোড় হতে রানিয়াদ ভাঙ্গা বাসস্ট্যন্ড পর্যন্ত সড়ক। দেড় কিলোমিটার এই সড়কের দুই পাশে বসবাস করেন ১১ গ্রামের বাসিন্দা। রয়েছে ৩টি মসজিদ, ১টি মাদরাসা ও একটি কবরস্থান। নিত্যদিন হাজারো মানুষের যাতায়াতের পাশাপাশি অন্তিম যাত্রাও হয় এই সড়ক ব্যবহার করেই। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের বেহালদশা থাকলেও কেউ খবর রাখেন না। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানতো নির্বাচনের পর দেখতেও আসেন নি।
আলোকদিয়া ইউনিয়নের সাবেক সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম, স্থানীয় বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম জুয়েল, ব্যবসায়ী আবদুর রাজ্জাক জানান তাদের দূরবস্থার কথা। তারা বলেন, প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে অন্তত দেড় হাজার লোক যাতায়াত করেন। একটু বৃষ্টি হলেই চলাচল কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। বৃষ্টি হলে মৃত ব্যক্তির লাশ নিয়ে যাওয়া দূরহ হয়ে পড়ে।
রফিকুল ইসলাম জানান, এলাকাবাসীর সাথে আমিও সম্মিলিতভাবে বহুবার সড়কটির উন্নয়নের জন্য চেষ্টা করেছি। ১৯৯১ সাল থেকে চেষ্টা চলছে দফায় দফায়। আজও কোন লাভ হয়নি। আর কতদিন অপেক্ষার পর আমাদের সড়ক পাকা হবে আল্লায় জানে।
রানিয়াদ পালের ভিটা গোরস্থান পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. বকুল হোসেন বলেন, ১০-১২টি গ্রামের মৃত ব্যক্তিদের দাফন করা হয়। ওই মৃতদেহ গোরস্থানে আনার অবর্ণনীয় কষ্ট ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।
শিক্ষক মো. শরীফ আহমেদ বলেন, গ্রামবাসী মিলে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন ও সচিবালয় পর্যন্ত ঘুরাঘুরি করেছেন। কিন্তু সুফল আসেনি।
এ ব্যাপারে আলোকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ তালুকদার দুলাল বলেন, ওই সড়কটি সংস্কারের চিন্তাভাবনা আছে। করোনাকালীন সময়ের পরে সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *