তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর তানোরে মেয়রের গ্রাম্য সালিশ মাত্র ৮ হাজার টাকা জরিমানা করে প্রতিবন্ধী নারী নির্যাতনের অভিযোগ থেকে অভিযুক্তদের মুক্তি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত ১৭ মে সোমবার দিবাগত রাতে ধানতৈড় গ্রামে আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, গত ৭মে তানোর পৌর এলাকার ধানতৈড় গ্রামের
মৃত ভোলা মন্ডলের পুত্র জহির একই গ্রামের শারীরিক প্রতিবন্ধী পরিবারের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা বন্ধ করতে গেলে প্রতিবন্ধী ওই নারী বাধা দেয়।
এ সময় জহির তার লোকজন নিয়ে প্রতিবন্ধী নারীকে বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানী ও তার
পরিবারের লোকজনের ওপর মধ্যযুগীয় নির্যাতন করে। নির্যাতনের এক পর্যায়ে সে সঙাহীন হয়ে পড়ে। স্থানীয়রা অচেতন প্রতিবন্ধী নারীকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় ভিকটিম বাদি হয়ে জহির উদ্দিনসহ ১০ জনকে আসামি করে তানোর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
এদিকে তানোর পৌর মেয়র ইমরুল হক বিষয়টি স্থানীয় ভাবে মিমাংসার কথা বলে চাপ প্রয়োগ করে ভিকটিমকে থানা থেকে অভিযোগ প্রত্যাহার করায়। অন্যদিকে ১৭মে
সোমবার সকালে তানোর পৌর মেয়র ইমরুল হকের নেতৃত্বে ধানতৈড় গ্রামে কথিত শালিস বৈঠক বসে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এদিন মেয়র ইমরুল হক তার অনুগতদের নিয়ে বিচারের নামে প্রহসণ করেছেন। শালিসে ১০ জনকে দোষী সাবস্থ্য করে মাত্র ৮ হাজার জরিমানা করা হয়। তবে ৮ হাজারের মধ্যে ৫ হাজার টাকা ভিকটিমকে চিকিৎসা খরচ বাবদ দেয়া হয় এবং বাঁকি ৩ হাজার টাকা মাদ্রাসায় দেয়া হয়। এবিষয়ে জানতে চাইলে মেয়র ইমরুল হক বলেন, গ্রামবাসীর অনুরোধে ভিকটিম অভিযোগ প্রত্যাহার করেছে, তিনি বলেন, তুচ্ছ ঘটনা তায় সকলের সম্মতিতে সামাজিকভাবে আপোষ-মিমাংসা করা হয়েছে।