তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ

রাজশাহীর তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল আয়োজন করা হয়েছে।

জানা গেছে, ২৮ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রাব্বানীর সভাপতিত্বে তানোর পৌরসভা চত্ত্বরে আয়োজিত আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ্ আল মামুন, তানোর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মেয়র ইমরুল হক,

মুন্ডুমালা পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মেয়র সাইদুর রহমান
উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুস সালাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুল সরকার পাপুল, কাঁমারগা ইউপি চেয়ারম্যান মসলেম উদ্দিন প্রামানিক, সরনজাই ইউপি আওয়ামী লীগ সভাপতি ও চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক, সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সাদাত,
উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক রেজাউল ইসলাম, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক তোফাজ্জল হক খাঁন,

তানোর উপজেলা কৃষক লীগের সাধারন সম্পাদক ও তানোর পৌরসভার প্যানেল মেয়র আরব আলী, কাউন্সিলর এন্তাজ আলী, পাঁচন্দর ইউপি আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক বিজেন কর্মকার, কলমা ইউপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম, তানোর পৌর যুবলীগের সভাপতি রাজিব সরকার হিরো, সাধারণ সম্পাদক ওহাব সরদার, আরিফুজ্জামান বাচ্চু, সোহেল রানা ও হাবিল রানা,প্রমুখ। এছাড়াও আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু, তার পরিবার, জাতীয় চার নেতার আত্তার মাগফেরাত,
প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু এবং দেশ ও জতীর মঙ্গল কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এদিকে গোলাম রাব্বানী বলেন, আমরা রাজনীতি করি সাধারণ জনগণের ভালবাসা নিয়ে, আগামী কাউন্সিলে নেতাকর্মীদের ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হবে, নেতাকর্মীরা চাইলে তারা দায়িত্বে আসবেন না চাইলে আসবেন না, তবে নেতাকর্মীদের কাছে অনুরোধ তারা যেনো কোনো শাসক নয় সেবক, কোনো অনুপ্রবেশকারী সুবিধাভোগী নয় ত্যাগী ও আদর্শিক নেতৃত্ব নির্বাচন করেন।

তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ আসন্ন ইউপি নির্বাচনে তিনি যেনো নেতার আমলনামা, ভোটারদের মানসিকতা ও নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে প্রার্থী মনোনয়ন দেন, কারন মানুষ এখন অনেক সচেতন তারা শুধু প্রতিক দেখে ভোট দেয় না, প্রার্থীর আমলনামা, ব্যবহার, চরিত্র ইত্যাদি বিবেচনা করে ভোট দেন, যার প্রমাণ তানোর উপজেলা, মুন্ডুমালা ও গোদাগাড়ী পৌরসভা নির্বাচন। তিনি বলেন, প্রার্থী মনোনয়নে ভুল হলে দেখা যাবে আবারো কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে বিজয়ী হয়েছেন।

তিনি বলেন, উপজেলার সিংহভাগ ইউপি চেয়ারম্যান নিয়োগ বানিজ্যে, গভীর নলকুপের অপারেটর বানিজ্যে, ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম-দুর্নীতিসহ নানা কারণে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এরা রাজা আর
তৃণমুলের নেতাকর্মী ও সাধারণ প্রজা সেই আচরণ করেছেন। এছাড়াও নৌকা প্রতিক পেলেই বিজয়ী এই মানসিকতার কারণে তারা দলের তৃণমুল নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে নিজেরা এখন জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন, এদের বিজয়ী হবার কোনো সম্ভবনা নাই। তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা জাতির বিবেক তায় যা সঠিক সত্য সেটা আপনাদের লেখার মধ্যদিয়ে জাতির সামনে তুলে ধরেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *